নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফ পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খানপুর জিরার দিগীর পাড় সংলগ্ন গৃহীনীকে ধর্ষণ চেষ্টার প্রতিবাদ ও আব্দুর রবের দোকান লুট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়ায় অপরাধে কাল হলো আব্দুল ওদুদের (৬৫)। তাকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে গুরুতর জখম করে একদল সন্ত্রাসী। হামলার স্বীকার আব্দুল ওদুদের এক এক পা কেটে পেল্লেও তিনি এখনও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হলেও এখনধরা পড়েনি কোন আসামী।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি বুধবার ১লা ফেব্রুয়ারী দুপুর আড়াইটার দিকে দক্ষিণ খানপুরের জিরার দীগি পাড় এলাকায় ঘটেছে। ভুক্তভোগী আব্দুল ওদুদের পুত্রবধু বিলকিস মুঠোফোনে জানান, সন্ত্রাসী হামলার পর আমরা উদ্ধার করে আমার শুশুরকে ঐদিন মুমূর্ষু অবস্থায় নোয়াখালী ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তুু সে সুস্থ না হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকায় নিয়ে আসি। ডাক্তার বলেছে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্ঞান ফিরে আসলে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবদুল ওদুদ সাংবাদিকদের জানান, ফখরুল, দেলোয়ার, শাকিল, হোসেন চৌকিদার, হাসান, বাহার সহ আরো অজ্ঞাত ৮/৯জন আমাকে বাড়ির পার্শ্বে হত্যার উদ্দেশ্য আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় তারা।
ঘটনার পর দোকান পোড়ানো মামলার তদন্তে বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই নুরনবী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে উক্ত হামলায় বৃদ্ধার অবস্থাও দেখেছেন বলে জানান বৃদ্ধার পরিবার ।
প্রসংগত, গত ৩০শে জানুয়ারী দিবাগত রাত ২ টার দিকে আবদুর রবের দোকানে লুট ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। ঐ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে ৬৫ বছরের আবদুল ওদুদকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করে।