ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে ২২ জনকে গুলি করে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর গণহত্যার ঘটনার কারণ, আততায়ীর সঙ্গে প্রেমিকার ঝামেলা। তার কারণেই নাকি অন্তত ২২ জনের প্রাণ গিয়েছে বন্দুকের গুলিতে। শুক্রবার দেশটির এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার এ কথা জানিয়েছেন। গত ২০ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই ভয়াবহ হামলা চালায় ওর্টম্যান। পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ী তার প্রেমিকাকে হেনস্তা করেছিল। এবং সেই রাগেই বাড়ি ও তাকে ছেড়ে উডস-এ চলে গিয়েছিল প্রেমিকা। সেই রাগেই গণহত্যা চালিয়েছিল ওই বন্দুকবাজ। পুলিশ হেনস্তার প্রকার নিয়ে কিছু না বললেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বন্দুকবাজ তার প্রেমিকাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। এই মুহূর্তে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ওই মেয়েটি। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।

কানাডীয় মাউন্টেড পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ড্যারেন ক্যাম্পবেল বলেছেন, ‘মেয়েটি কোনো ভাবে পালিয়ে বেঁচেছিল, তবে এ ধরনের ধ্বংসলীলা চালানোর পেছনে একেবারেই কোনো পরিকল্পনা ছিল না বললে ভুল বলা হবে।’ কোনো এক শনিবার রাতে এমন ঘটনা ঘটে এবং রবিবার ভোরবেলা পুলিশকে খবর দেয় মেয়েটি। শনিবার সারা রাত উডস-এর একটি মোটা গাছের পেছনে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিল।

৫১ বছরের অভিযুক্ত বন্দুকবাজ গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান পোর্টাপিকে ১৩ জনকে গুলি করে খুন করে। পুলিশের ভুয়া গাড়ি ও ইউনিফর্ম পরেছিল সে। রবিবার সকালে আরও ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল সে।

মারণ জীবাণু করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এই মুহূর্তে কানাডায় চলছে লকডাউন। ঘরবন্দী মানুষজন। কিন্তু তার মাঝে রবিবারই ঘটে যায় ভয়ংকর ঘটনা। নোভা স্কটিয়া প্রদেশের পোর্টাপিকো শহরে পুলিশ অফিসারের বেশে এক ব্যক্তি আচমকাই হামলা চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের গাড়ি নিয়ে আসে। গুলি চালনার পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন মানুষজন। কিন্তু তাতে আরও বিপত্তি ঘটে। তারা এলোপাতাড়ি গুলির মুখে পড়ে প্রাণ হারান।

যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ অফিসারও। পুলিশের পালটা গুলিতে নিহত বন্দুকবাজও। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ হামলার ঘটনা বলে একে চিহ্নিত করছে জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে ২২ জনকে গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় : ০৮:২৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর গণহত্যার ঘটনার কারণ, আততায়ীর সঙ্গে প্রেমিকার ঝামেলা। তার কারণেই নাকি অন্তত ২২ জনের প্রাণ গিয়েছে বন্দুকের গুলিতে। শুক্রবার দেশটির এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার এ কথা জানিয়েছেন। গত ২০ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই ভয়াবহ হামলা চালায় ওর্টম্যান। পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ী তার প্রেমিকাকে হেনস্তা করেছিল। এবং সেই রাগেই বাড়ি ও তাকে ছেড়ে উডস-এ চলে গিয়েছিল প্রেমিকা। সেই রাগেই গণহত্যা চালিয়েছিল ওই বন্দুকবাজ। পুলিশ হেনস্তার প্রকার নিয়ে কিছু না বললেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বন্দুকবাজ তার প্রেমিকাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। এই মুহূর্তে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ওই মেয়েটি। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।

কানাডীয় মাউন্টেড পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট ড্যারেন ক্যাম্পবেল বলেছেন, ‘মেয়েটি কোনো ভাবে পালিয়ে বেঁচেছিল, তবে এ ধরনের ধ্বংসলীলা চালানোর পেছনে একেবারেই কোনো পরিকল্পনা ছিল না বললে ভুল বলা হবে।’ কোনো এক শনিবার রাতে এমন ঘটনা ঘটে এবং রবিবার ভোরবেলা পুলিশকে খবর দেয় মেয়েটি। শনিবার সারা রাত উডস-এর একটি মোটা গাছের পেছনে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিল।

৫১ বছরের অভিযুক্ত বন্দুকবাজ গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান পোর্টাপিকে ১৩ জনকে গুলি করে খুন করে। পুলিশের ভুয়া গাড়ি ও ইউনিফর্ম পরেছিল সে। রবিবার সকালে আরও ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল সে।

মারণ জীবাণু করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এই মুহূর্তে কানাডায় চলছে লকডাউন। ঘরবন্দী মানুষজন। কিন্তু তার মাঝে রবিবারই ঘটে যায় ভয়ংকর ঘটনা। নোভা স্কটিয়া প্রদেশের পোর্টাপিকো শহরে পুলিশ অফিসারের বেশে এক ব্যক্তি আচমকাই হামলা চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের গাড়ি নিয়ে আসে। গুলি চালনার পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন মানুষজন। কিন্তু তাতে আরও বিপত্তি ঘটে। তারা এলোপাতাড়ি গুলির মুখে পড়ে প্রাণ হারান।

যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ অফিসারও। পুলিশের পালটা গুলিতে নিহত বন্দুকবাজও। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ হামলার ঘটনা বলে একে চিহ্নিত করছে জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন।