নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শ্বশুরকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাতার বিরুদ্ধে।
নিহত মো. মহিন উদ্দিন (৬৫) উপজেলার ২নং সুন্দল পুর ইউনিয়নের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
শনিবার ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার ২নং সুন্দলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মনু মন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগ থেকে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে শ্বশুরের সাথে বিরোধ দেখা দেয় মেয়ের জামাই নুরনবী সুমনের। শনিবার সন্ধ্যার দিকে এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় নিহতের মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতিদের সঙ্গে। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বৃদ্ধ মহিন উদ্দিনকে মেয়ে, মেয়ের জামাই,নাতিরা মারধর করে। এতে করে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ও স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট মেয়ে নোয়াখালী কলেজে বি এস সি পড়ুয়া ছাত্রী শারমিন আক্তার আজমিরি, মেজো মেয়ে আকলিমা আক্তার সিমা ও সেজো মেয়ে বিবি কুলসুম লাভলী অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেন তাদের বোন জামাই নুরনবী সুমন (৪০) নিহতের নাতি ইউসুফ নবী অন্তর (২০) মো. শামীম (১৮) এবং মেয়ে শাহেনা আক্তার (৩৮)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মৌখিক ভাবে এমন অভিযোগ পেয়ে হাসপাতাল থেকে রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাঁর মেয়ের জামাই, মেয়ে ও দুই নাতি তাকে কিল, ঘুষি দেয়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল হক। তিনি জানান, খবর পেয়ে তিনি সরজমিনে এসে তদন্ত করেছেন। নিহতের সাথে তার মেয়ে শাহেনা আক্তার ও জামাতা নুরনবী সুমনের সাথে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের জামেলা চলছে। গত কয়েকদিন আগেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিল মেয়ে শাহেনা আক্তার। ওই ঘটনার জের ধরেই এ হত্যাকন্ড ঘটেছে। এঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।