নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে গরু সীম গাছ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় ও পূর্ব শত্রুতার জেরধরে বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারী পুরুষ ও শিশুসহ ৭জন।
গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭ঘটিকার দিকে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের সিদ্দির দোকান সংলগ্ন পশ্চিম পাশে আবুল কাশেমের বাড়িতে এ হামলা, লুটপাত ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার সময় পাশের বাড়ীর আত্মীয় রোকছানা ও তাহার চাচাত ভাই নীরব কাসেমের বাড়ীতে বেড়াইতে আসে। ঘরে বসে সকলে মিলে চা নাস্তা খাওয়ার সময় হঠাৎ অভিযুক্তরা আারো অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন এসে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হাতে দা, চেনি, লাঠি, লোহার রড, হকিস্টিক নিয়ে এসে তাদের বাড়ীতে ডুকে বসত ঘরে প্রবেশ করে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে বসত ঘরে টিন, এলইডি টিভি সহ ঘরে থাকা অন্যান্য আসবাব পত্র ভাংচুর করে ঘরে থাকা নারী পুরুষ ও শিশু সহ সকলকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। ঐ সসয় তাদের আাত্ন চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এঘটনায় হামলার শিকার কাসেমের পরিবারের পক্ষ থেকে কাসেমের স্ত্রী সামছুন নাহার বেগম (৫২) বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৪/১৫ জন অজ্ঞাতনামা আসাামী করে কবিরহাট থানায় একটি এজহার দায়ের করেছেন। যাহা এখনো তদন্তধীন রয়েছে।
স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থাপনাা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ জানান, এধরণের নেক্কার জনক ঘটনার জন্য তারা সমাজের পক্ষ থেকে অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন এবং ভবিষৎ এ যেন সমাজের কোন পরিবারের উপর এরকম নেক্কার জনক ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানানো হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খাঁন বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে আমি শোনার পর পরই কাাসেমের বাড়িতে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে সব কিছু দেখার পর খুবই খারাপ লেগেছে। একটা নিরিহ পরিবারের উপর এধরণের হামলা মেনে নেওয়া যায়না। আমরা আইনি ভাবে হামলা কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কবিরহাট থানার ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। আগামী দিনে এরকম কোন ঘটনা কিন্বা এলাকায় কোন বহিরাগত লোক এসে মাস্তানী করার চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্যও সমাজের লোকজনকে বলা হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় থানায় হামালার শিকার কাসেমের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। যাহা এসআই ওমর ফারুককে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।