সুবর্ণচর প্রতিনিধিঃ
সারা দেশে গ্রামীণ হাটবাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় (সিডিএসপি) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) যৌথ উদ্যোগে সুবর্ণচরে বিভিন্ন হাট বাজার উন্নয়নে দোতলা মৎস্য শেড, কাচাঁবাজার শেড, স্যানেটারি টয়লেট, গভীর নলকূপ স্থাপন, ময়লার ডাস্টবিন, নির্মাণসহ ১১টি ক্যাটাগরির কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব সেলিম বাজার ২ টি শেড (টল ঘর) নির্মাণ কাজের টেন্ডার পান মের্সাস কাজী এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ০৭ নং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব সেলিম বাজারে ২ টি শেড নির্মাণ কাজ শুরু করে একটি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হলেও দ্বিতীয়টি নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে দুইটি শেড নির্মাণ কাজের টেন্ডার হলেও একটি শেডের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অপর শেডের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্যে ঠিকাদার ও তার লোকজনকে হুমকি, ধামকির অভিযোগ তুলেন ঠিকাদার কাজী হেলাল।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজী এন্টার প্রাইজের মালিক জানান , ০৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মাহে আলম সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন। আমাকে ও আমার লোকজনকে প্রকাশ্য বাজারে হুমকি, ধমকি দিয়ে যাচ্ছে নির্ধারিত স্থানে কাজ না করতে। তাই শেড নির্মাণ কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
পূর্ব সেলিম বাজারের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম (৫৫) ব্যবসায়ী মোঃ ডাঃ ওমর ফারুক (৩৮), মোঃ দিদারুল আলম (৪৫) প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পুরা বাজারটি সরকারি খাস খতিয়ানের অর্ন্তভূক্ত, বাজার উন্নয়নের স্বার্থে পাশাপাশি দুইটি শেড নির্মাণ করার কথা থাকেলে ও ভুয়া মালিকানা দাবি করে একটি শেড নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সাবেক ইউপি সদস্য মাহে আলম। তিনি এর আগে নির্বাচনের পর পর বাজারে লাঠিসোটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি ধমকি প্রদান করেন।
পূর্ব সেলিম বাজারের সাধারন ব্যবসায়ীগণ নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী ৪ সংসদ সদস্য, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বন্ধ থাকা শেডের কাজটি নির্ধারিত স্থানে দ্রুত সময়ে নির্মাণ করার জোর দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মাহে আলম বলেন, দ্বিতীয় শেডটি যেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে সেই জায়গাটি আমার। আমি এমপি সাহেবকে বিষয়টি জানিয়েছি। তাই কাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদার ও তার লোকজনকে বলেছি, হুমকি, ধমকির মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আর এমপি সাহেব ঠিকাদারকে বলেছেন অন্য স্থানে এই শেড নির্মাণ করতে। তাহলে আমি কাজ বন্ধ করে দিলাম কি করে?।
উপজেলা (এলজিইডি) শেড নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল আলম জানান, কাজ বন্ধের বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমি দেখছি।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন সরকার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।