নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২ মানব পাচারকারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাতে ওই উপজেলার জিরতলি ইউনিয়ন থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার জিরতলি ইউনিয়নের উত্তর জিরতলী গ্রামের মৃত ফেঞ্জু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), ও একই গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রঃ কালা মিয়া (২৮)।
ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বিবি কুলছুম (৩৫) নামে এক নারী নোয়াখালী পুলিশ সুপার নোয়াখালী কার্যালয়ে এসে জানায় তাহার ভাই মোঃ আলাউদ্দিন দীর্ঘ ৮ বছর যাবত লিবিয়াতে কর্মরত আছেন। তার ভাইয়ের সাথে বেগমগঞ্জ থানাধীন জনৈক মহিনের সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তার প্রতি প্রলুদ্ধ হইয়া ইতালীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।
গত ২০২০ সালের জুন মাসের প্রথম দিকে মহিন তার পরিবারের ইমু নাম্বার সংগ্রহ করিয়া আলাউদ্দিন সহ নোয়াখালীর ১৪/১৫ জন লোক মাফিয়া চক্রের হাতে আটক হয়েছে বলে জানায়। তাদের উদ্ধারের জন্য জনপ্রতি ৬ লাখ টাকা দিতে হবে। তাদের মুক্তির জন্য জরুরী ভিত্তিতে মহিনের দেয়া বিভিন্ন বিকাশ নাম্বারে পাঠানোর জন্য তাগিদ দেয়। তা না হলে আলাউদ্দিন সহ অন্যান্যদের হত্যা করে লাশ সাগরে ভাসাইয়া দিবে।
পরবর্তীতে কুলছুমের পরিবার থেকে বিভিন্ন বিকাশ নাম্বারে বিভিন্ন সময়ে ৩,৫০,০০০/- তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। মহিন আরো টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে । উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার নোয়াখালীর নির্দেশনায় ডিবি নোয়াখালী অভিযান চালিয়ে ২ মানব পাচারকারীর সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা একটি সঙ্গবদ্ধ মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা স্থানীয় দরিদ্র শ্রেণীর অসহায় মানুষদের প্রলুদ্ধ করিয়া কৌশলে বাংলাদেশ হইতে লিবিয়ায় নিয়া আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় করিয়া আসিতেছে। গ্রেফতারকৃতদের বর্ণিত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে।
নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (ডিবি) কামরুজ্জামান শিকদার জানান, মানবপাচারকারীর ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।