নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে মাছের প্রজেক্টের বাঁধকেটে দিয়ে মাছ নিয়ে যাওয়া ও রাতে প্রজেক্টের পানিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় প্রজেক্টের মালিক প্রবাসী ইউছুফ আহম্মদের শালক মো: হারুন বাদী হয়ে শুক্রবার বিকালে কবিরহাট থানায় একটি এজহার দায়ের করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টার সময় স্থানীয় এনামুল হক বাঙ্গালী তার ছেলেদেরকে সাথে নিয়ে প্রজেক্টের বাঁধকেটে বিভিন্ন প্রজাতির ৪লক্ষ টাকার মাছ তার পুকুরে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে রাত ১০ ঘটিকার দিকে যেকোন উপায়ে মাছের প্রজেক্টের পানিতে বিষ ডেলে দিয়ে অবশিষ্ট বিভিন্ন প্রজাতির ৩ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করেন। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে সেখানে রোপনকৃত বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ৩০ হাজার টাকার চারা গাছ নষ্ট করা হয়।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা জানি যে, এই জায়গা এনামুল হক বাঙ্গালী থেকে তার বাগিনা খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে এখানে মাছের প্রজেক্ট তৈরী করেন। বর্তমানে কেন, কি কারণে এনামুল হক বাঙ্গালী এই প্রজেক্টের বাঁধকেটেছে তা জানিনা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যন আব্দুল মান্নান জানান, যে এনামুল হক বাঙ্গালী একজন খারাপ প্রকৃতির লোক হওয়ার কারণে তার আপন ভাগিনার কাছে জমি বিক্রি করে এখন আবার নিজের মালিকানা দাবি করে অহেতুক বিবাধ সৃষ্টি করছে। আমরা চাই প্রশাসন সুস্থ্য তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার সঠিক বিচার করুক।
পুরো ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এনামুল হক বাঙ্গালী প্রজেক্টের বাঁধকাটার কথা স্বীকার করলেও পানিতে বিষ মিশিয়ে মাছ নিধনের কথা অস্বীকার করেন।
মামলার এজহারের তদন্তকারী কর্মকর্তা কবিরহাট থানার এস আই মাঈন উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে বাঁধকাটা অবস্থায় দেখেছি। বাকিটা তদন্তের পর বলা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার অফিসাার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে জানান, তাদের জায়গা ও লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরধরে এ ঘটানা ঘটেছে। তদন্ত চলছে বাকিটা তদন্ত শেষে বলা যাবে।