নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে এক দম্পতির নবজাতক শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ড থেকে শিশুটি চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এঘটনায় শিশুটির বাবা সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত শিশুটির কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
শনিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতকের পিতা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিন মুছাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হয়।
তিনি জানান, গত চারদিন আগে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরুহলে উন্নত চিকিৎসা জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাকে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার (২০) নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটি জন্ম নেওয়ার কিছুক্ষন পর ওই দম্পতি তাদের সন্তানকে দেখতে চাইলে নার্স ও আয়া বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করেন। এক ঘন্টা পর সাইফুল ইসলাম কে জানানো হয় তার নবজাতকটি মৃত হয়েছে। পরে তিনি মৃত শিশুর দেহ দেখতে চাইলে তারা তাও দেখাতে পারেন নি। নার্স ও আয়া তার ছেলেকে চুরি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তিনি তার সন্তানকে পাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক বার ধরনা দিয়েও কোন পাত্তা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের ইনচার্জ বিথিকা রানী হালদার বলেন, ওই প্রসুতির একটি মৃত পঁচা, গলা শিশু ভুমিষ্ট হয়েছে। শিশুটির দেহ কোথায় আছে তা জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল আজিমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এধরনের একটি কথা তিনি শুনেছেন। অফিসের কাজে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। নোয়াখালী ফিরে তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিবেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, ঘটনায় নবজাতকের বাবা শনিবার সকালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করলে তদন্তটি সহজ হতো। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।