নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে গৃহবধূ ফারজানা আক্তার টুনি হত্যার ঘটনায় আবদুর রহিম জাবেদ প্রকাশ আরিফ নামের এক যুবককে (২৭) আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সৈয়দ ফখরুল আবেদীন এ আদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবদুর রহিম জাবেদ সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের শুল্লকিয়া এলাকার চারুবানু গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চারুবানু গ্রামের আবদুল বাসেতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার টুনির বাড়ীর সড়ক দিয়ে চলাচল নিয়ে আসামী আবদুর রহিম জাবেদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই বিকেলে টুনির গাছের একটি নারিকেল কুড়ানোকে কেন্দ্র জাবেদের সাথে টুনির কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে জাবেদ ধারালো দা দিয়ে টুনিকে মাথায় একাধিক আঘাত করলে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে টুনি। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নুরুল আমিন বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই আবদুর রহিম জাবেদকে আসামী করে সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম থানার এসআই ইকবাল হোসেন ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রোববার আদালত ১৭ জনের স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আসামী আবদুর রহিম জাবেদকে আমৃত্যুকারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট গোলাম আকবর এবং আসামীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আবদুর রহিম রাসেল।