নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নে মো. পারভেজ হোসেন (২৪) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও চারজন। ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. পারভেজ হোসেন আলাইয়াপুর ইউনিয়নের আক্তাররামপুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হচ্ছেন, উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের নজির আহমদের ছেলে রিয়াদ হোসেন (২৭), মো. পারভেজ (২৫) ও হেঞ্জু মিয়ার ছেলে আজাদ হোসেন (৩২)সহ চার জন। আটককৃতরা হচ্ছেন, খালিশপুর গ্রামের শাহ আলম, তার ছেলে নিজাম উদ্দিন, মেয়ে স্বপ্না আক্তার ও শাহ আলমের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জের ছয়ানি ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের নজির আহমদের ছেলে মো. সুজন (১৮) এর সাথে পাশ^বর্তী খালিশপুর গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে স্বপ্না আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে সুজনকে বাড়ীতে ডেকে নেয় শাহ আলমের মেয়ে। কল পেয়ে রাতে বাড়ীতে এলে সুজনকে আটক করে শাহ আলম ও তার পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে রাতে সুজনের বড় ভাই রিয়াদ হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের কাছে টাকা দাবী করে অন্যথায় তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে বলে প্রস্তাব দেয়।
সুজনের বড় ভাই রিয়াদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রাতে তারা ওই বাড়ীতে থেকে চলে আসলেও শাহ আলম তার লোকজন নিয়ে সুজনকে আটক করে রাখে। মঙ্গলবার সকালে তাদের পরিবার ও সুজনের বন্ধুরা মিলে ৮-৯জন শাহ আলমদের বাড়ীতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানে বসে। এর কিছুক্ষণ পর শাহ আলম, তার ছেলে ও মেয়েরা অর্তকিতভাবে ধারালো দা ও বটি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা রিয়াদ, পারভেজ হোসেন, আজাদ হোসেন ও পারভেজসহ ৫জনকে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের মধ্যে সুজনের বন্ধু পারভেজ হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, হত্যাকান্ডের পর ওই এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।