নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাকিদ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৩জনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে আটককৃত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) কোম্পানীগঞ্জ থানার মূল ফটকের সামনে ও গত (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় পৌরসভার করালিয়াতে উপজেলা আ.লীগ কমিটি অনুসারী ও মির্জা কাদেরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মির্জা কাদেরের অনুসারীদের দায়েরকৃত দুটি মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক হাসান ইমাম রাসেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক হাসান ইমাম রাসেল (৪৩), দৈনিক আজকালের খবরের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি এবং উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের সিরাজ উদ-দ্দৌলার ছেলে।
এ ছাড়া আ.লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে মির্জা অনুসারীদের এক মামলায় উপজেলা আ.লীগ কমিটি অনুসারী সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসনে রিয়াদ (২৭), ও পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদ উল্যাহ চৌধুরী দিদারকে (৩৪) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সাংবাদিক রাসেলকে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে এবং অপর দুই আসামি পৌরসভার হাসপাতাল গেইট ও জামাইর টেক এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে।
অপরদিকে, শনিবার (১৭এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আ.লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক হাসান ইমাম রাসেলসহ আটক ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। সাথে সাথে উপজেলা আ.লীগ অভিযোগ করেন সাংবাদিক রাসেল কাদের মির্জার প্রতিহিংসার শিকার। তারা এ মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি নিয়মিত মামলায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।