শিরোনাম:
চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সূত্র খুঁজতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি, সময় লাগবে ২-৩ দিন, হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন, সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ ৪প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪ ভুল চিকিৎসায় মা’সহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, হসপিটালে ভাংচুর চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোম্পানীগঞ্জে মনোনয়ন দাখিল করলো ১০ জন এক ভাইকে বাঁচাতে আরেক ভাই পানিতে, ডুবে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে জমিতে অজ্ঞান কৃষক, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু নতুন গ্যাস কূপের খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন কবিরহাট পৌরসভার উপনির্বাচনে ১৭১ ভোটের ব্যাবধানে তিনবারের প্রার্থীর জয়

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মা কে কারাগারে পাঠালো পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৯ মে, ২০২১

নোয়াখালী প্রতিবেদক:

 

 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরনী ইউনিয়নে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত খালেদা আক্তার (২৯) উপজেলার হরনী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের স্ত্রী।

নিহত শাবনূর বেগম (১২)। সে হরনী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আদর্শ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের মেয়ে এবং স্থানীয় দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

শুক্রবার (২৮মে) রাত ৮টায় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার (২৬ মে) এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্ত্রীকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আবুল খায়ের আরো বলেন, গত (২৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের একটি ঝোপঝাড় থেকে নিখোঁজ ওই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং একই সাথে তার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ মাকেও আটক করে পুলিশ। পরে বৈরি আবহওয়ার কারণে নৌ-চলাচল বন্ধ থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নিহতরে পিতা আবুল কাশেম জানান, গত ১২ বছর আগে সন্তান প্রসবের সময় তার প্রথম স্ত্রী মারা যায়। প্রথম ঘরে তার ৩ মেয়ে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী খালেদা আক্তারের (২৯) ঘরে তার তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। তিনি স্থানীয় আদর্শ গ্রাম বাজারের একজন ব্যবসায়ী। গত সোমবার (২৪ মে) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার মেয়ে তাকে দোকানে সহযোগীতা করে। পরে তিনি মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। দুপুরের দিকে তিনি বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিন্তু তিনি দিন রাত খুঁজে তার কোন সন্ধ্যান পাননি। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রতিবেশীরা দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের ঝোপঝাড়ের মধ্যে শাবনূরের মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়।

নিহতের পিতা আবুল কাশেম অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর তার বসত ঘরের একটি কক্ষে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। তার একটি লুঙ্গি এবং নিহত শাবনূরের একটি নতুন ওড়না ঘরের মধ্যে ভিজে পাওয়া যায় এবং ঘরের পাশে দুটি লাঠি পাওয়া যায়। সৎ মা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী খালেদা আক্তার পারবারিক কলহের জের ধরে তাকে অনেকবার নির্যাতন করেছেন। একাধিকবার অন্ডকোষ চেপে হত্যা করতে চেষ্টা করেন।

হাতিয়া মোর্শেদবাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, শাবনূরকে মাথায়, মুখে, ঘাড়ে, কানে দা দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে ঝোপঝাড়ে মরদেহ ফেলে দেয় তার সৎ মা।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১