নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী সদর উপজেলায় ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কাঞ্চন বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে অর্ধউলঙ্গ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। একই সময় আরো ৩জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ই জুলাই) সকালে উপজেলার উত্তর চাকলা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা ওই নারী উত্তর চাকলা গ্রামের মো. বাহারের স্ত্রী।
আহত অন্যরা হলেন, উত্তর চাকলা গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. বাহার, মো. বাহারের ছেলে মো. শাকিব ও বাছর আলীর ছেলে আবদুর জলিল।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাঞ্চন বেগম ও তার স্বামী মো. বাহার বলেন, প্রতিবেশী শাহজাহানের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ২৪ এপ্রিল সুধারাম থানায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাহার। শনিবার সকালে শাহজাহানের নেতৃত্বে মো. ফারুক, ছালেহ উদ্দিন, বাবরসহ সঙ্গবদ্ধ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বিরোধকৃত জায়গা দখলের চেষ্টা করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা মো. বাহারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে। পরে বাহারের শোর-চিৎকারে তার স্ত্রী কাঞ্চন বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা কাঞ্চন বেগমের শরীরের কাপড় টানা-হেচড়া করে ছিঁড়ে অর্ধউলঙ্গসহ তাকে শ্লীলতাহানী করে। এসময় আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
আহতদের মধ্যে কাঞ্চন বেগম ও তার স্বামী মো. বাহারকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত দুইজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। প্রকাশ্য-দিবালোকে একজন নারীর শরীরের কাপড় ছিঁড়ে অর্ধউলঙ্গ করে মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, এধরনের ঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।