নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ও গৃহিনীকে ধর্ষণ চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্টানেে অগ্নিসংযোগ ও লুটের অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
২৯ জানুয়ারী (শনিবার) রাত ২ টার দিকে শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ খানপুর গ্রামের আসলামের মৎষ্য প্রজেক্টে এলাকায় আবদুর রব (কালার) দোকানে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক আবদুর রব জানান, শরিবার রাত ২ টার দিকে স্থানীয় নজরুল ইসলাম ও বাহারের হুকুমে মতিন চৌকিারের ছেলে হাসান চৌকিদার, রায়হান, নাসের, তারেক, তাজু ও মন্নানের পুত্র আমিন উল্যা,মফিজের পুত্র রহিম এবং নাসির ,সুলতানের পুত্র ফখরুল ইসলাম, নুরু মিয়ার পুত্র আবুল বাশার, সুলতান ও সালাহউদ্দিন সহ অজ্ঞাত আরো ৮-৯ জন সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতা ও জাকের হোসেন পারভেজের স্ত্রী খোদেজা বেগমকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে এ লুটপাট এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায় বলে জানান দোকান মালিক।
জানা যায় , গত ২৬ শে জানুয়ারী বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে গৃহিনী খোদেজা বেগমকে তার মাদকাসক্ত স্বামী জাকের হোসন পারভেজের যোগসাজশে ধর্ষণের চেষ্টা করে একই এলাকার আবদুল জলিলের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান জীবন, সুলতান আহমেদের পুত্র ফখরুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জন। পরে ভিকটিমের চিৎকারে বাড়ীর লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত এক জনকে ধোলাই দিয়ে ধাওয়া করে করেন তারা।
এ ঘটনায় আবদুর রব ও তার পরিবার, ভুক্তভোগী ঐ নারীকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য থানায় অভিযোগ দিতে সহায়তা করলে অভিযুক্তরা তাদের দোকান লুট করে ও অগ্নিসংযোগ ঘটায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে করে দোকানে থাকা সকল মালামাল, নগদ অর্থ ও আসবাবপত্র সহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের ।
ভুক্তভোগী দোকান মালিক আবদুর রবের স্ত্রী মারজাহান বেগম জানান, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য পুলিশের সহায়তার জন্য তাৎক্ষণিক জাতীয় হেল্প লাইন ৯৯৯ এ কল দিলে ভোর ৪ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।
কিন্তু বেগমগঞ্জ মডেল থানায় সহায়তার জন্য ফোন দিলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ তা আমলে নেয় নি।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার বিচার চাই, আমরা নিরাপত্তা চাই।
বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ও আতংকে দিনাতিপাত করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি। তাদের একমাত্র চলার সম্বল ব্যবসাটি হারিয়ে পাগল প্রায় পরিবারটি। এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে শরীফ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান জানান, আমি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানটি দেখেছি,দুষিদের বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানাই।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।