ইউক্রেনে অভিযান চালানো রুশ সেনাদের কাছে যে গোলাবারুদ আর খাবারের মজুত আছে, তা দিয়ে আর তিন দিনের বেশি চলবে না বলে দাবি করেছে কিয়েভ। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) নিয়মিত বিবৃতিতে এ দাবি করেছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শুধু গোলাবারুদ ও খাবার নয়, রাশিয়ান বাহিনীর কাছে পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ নেই। তারা সেনা সংগ্রহের চাহিদা মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের বিমানবাহিনী ৯টি রুশ বিমান লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে একটি বিমান, ৬টি মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) এবং দুটি হেলিকপ্টার রয়েছে।
এ ছাড়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলছে, মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাশিয়ার ১৩টি হামলা প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রুশ বাহিনীর ১৪টি ট্যাংক, ৮টি পদাতিক যুদ্ধযান, দুটি বহুমুখী টোয়িং যান, ৩টি আর্টিলারি সিস্টেম এবং অন্যান্য ৪টি যান ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যদিও স্বাধীনভাবে এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ নিয়ন্ত্রণে নিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও শপিং সেন্টার লক্ষ্য করে সোমবারও (২১ মার্চ) গোলা হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এসব হামলায় নতুন করে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার (২১ মার্চ) কিয়েভের বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও শপিংমল লক্ষ্য করে দফায় দফায় হামলা চালায় পুতিন বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন। বাস্তচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। রাশিয়ার একের পর এক হামলার মুখে স্থানীয়রা কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন তা বোঝা গেল কিয়েভের এক বাসিন্দার কথায়। তিনি বলেন, রাশিয়া শপিংমল, হাসপাতাল এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে কী অর্জন করতে চায় বা তারা আসলে কী চায় আমরা বুঝতে পারছি না। শহরের কোথাও আমরা নিরাপদ নই।
এদিকে কিয়েভের শপিংমলে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি, ওই শপিংমলটি সামরিক কাজে ব্যবহার করে আসছিল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রকেট ছোড়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ক্রেমলিনের।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.