নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজারে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী মো. আইমানকে (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যাকান্ডের ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে তিন আসামির জবানবন্দি প্রদান।
রোববার (২২মে) রাত ৯টার দিকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তারা এ জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রবিবার রাত ৯ টার দিকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ফোজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আসামিদেরকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানায়, এর আগে একই দিন বিকেলে তিনটায় আসামি রাকিব, রিমন ও পাভেলকে আদালতে আনা হয়। এসময় তারা স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় নেয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়ার পর রাত ৯টায় তারা ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরা থেকে বের হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার ২১ মে রাত পৌনে ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডের হোসেন সুপার মার্কেটের সামনে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ব্যবসায়ী মো.আইমানকে প্রকাশ্যে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাই মিলনের ছেলে মো.পাভেল একই ওয়ার্ডের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. রাকিব (২০) ও আজাদ মিয়ার ছেলে রিমনকে আটক করে। নিহত মো.আইমন (২০) সে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের গণিপুর এলাকার নুরনবীল ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব জানান, নিহত আইমন চৌমুহনী বাজারে খোলা জায়গায় জুতার ব্যবসা করত। ঘাতক রাকিব তার সহযোগীদের নিয়ে তিন মাস আগে নিহত আইমনের কাছে চাঁদা দাবি করে। তখন আইমন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ আইমনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাকিবকে ইয়াবাসহ আটক করে কারাগারে পাঠায়। এরপর তিন মাস জেল খেটে রাকিব গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার জামিনে বের হয়। জামিনে বের হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য রাকিব ও তার সহযোগী পাভেল এবং রিমন শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আইমনকে চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডের হোসেন মার্কেটের সামনে গতিরোধ করে। ওই সময় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আইমনকে গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে লাইফ কেয়ার হসপিটালে নেওয়ার পথে আইমন মারা যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব আরো জানায়, ঘটনার পরপরই তিন ঘাতক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ হত্যাকান্ডের আধঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটি আটিয়াবাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করে এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করে। একই দিন রাতে এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.