নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ছনগাঁও গ্রামে কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখল করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় খাল দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। খালের একটি অংশ দখল হওয়ায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গিয়ে আসছে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির শংকা রয়েছে।
বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগি এলাকাবাসী ছনগাঁও বাজারে খাল দখলের প্রতিবাদে ও পরিত্রাণের দাবীতে এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তারা জানান, ছনগাঁও উত্তর পাড়ার রেললাইনের পূর্ব পাশের বাসিন্দা মজিবুল হক ও তার ভাই প্রবাসী ফারুক সম্প্রতি সরকারি খাল ও নালা দখল করে বসত ঘরের টয়লেটের বড় টাংকি নির্মান করেন। একইসাথে তারা দেয়াল তুলে বেশিরভাগ অংশ ভরাটও করে ফেলেন। এতে এলাকার প্রায় ২৫টি পরিবারের পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হয়েছে এবং আসছে বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলেও অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গেলে গনমাধ্যমকর্মীদের ওপর চওড়া হন অভিযুক্ত দখলদার মজিবুল হক। তিনি সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সালা উদ্দিন বলেন, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যারা খালটি দখল করেছে তারা কারো কথা শুনেন না। বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্থরা বজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত করবে বলে শুনেছি, তবে বিষয়টি নিয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমার জানা নেই।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি জানতে বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মীরন অর রশীদের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি যোগদান করেছেন মাত্র কিছুদিন হলো, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তবে খোঁজ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.