নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী সুবর্ণচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষেরর ঘটনা ঘটে ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয় ৬ জন এঘটনায় মারধর থামাতে আসলে সুফিয়া নামের এক বৃদ্ধ নারীর ডান হাত ভেঙ্গে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৮) অক্টোবর বেলা ১২ টায় সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর লক্ষী গ্রামে। আহতরা বর্তমানে মাইজদীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী চর লক্ষী গ্রামের মহি উদ্দিনের স্ত্রী বিবি কুলম আক্তার (৪০) অভিযোগ করে বলেন, তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চর লক্ষী গ্রামে তার বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন, প্বার্শবর্তী ২নং ওয়ার্ডের চর আলা উদ্দিন গ্রামের বাসিন্ধা ইব্রাহিম খলিলসহ কিছু ভূমিদস্যু তার জায়গাজমি আত্নসাৎ করার পায়তারা করে আসছে এ ঘটনায় তিনি ১ বছর আগে নোয়াখালী এডিএম কোর্টে একটি মামলা করেন মামলাটির তদন্ত দেয়া হয় সুবর্ণচর উপজেলা এসিল্যান্ড অফিসে।
গতকাল ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার এসিল্যান্ড অফিস থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী কুলসুমের বাড়ীতে তদন্তে যান খবর পেয়ে চর আলা উদ্দিন গ্রামের মৃত আফজালের রহমানের পুত্র ফজলের রহমান (৫৫), তার পুত্র ইব্রাহিম খলিল (৪২), ইশ্রাফিল (৩৫), ইব্রাহিম খলিলের পুত্র সাহাব উদ্দিন (২৫), একই গ্রামের আলা উদ্দিনের পুত্র সাইফুল (২৬)সহ ১০/১২ জনের একদল ভাড়াটিয়া বাহিনী এসে কু্লসুমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তার শোর চিৎকারে প্রতিবেশী মাহফুজল হকের পুত্র আলমগীর হোসেন(২৮) কু্লসুমকে উদ্ধার করতে আসলে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং সামছুল হকের স্ত্রী বৃদ্ধ সুফিয়া বেগম (৫৫)কে পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। এসময় সামছুল হককেও পিটিয়ে আহত করে অভিযুক্তরা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইশ্রাফিল মারধরেরর ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে মুঠো ফোনে বলেন, হামলায় আমাদের পক্ষের আবু কালাম এবং ফজলুল হক আহত হয় তারাও হাসপাতাল ভর্তি আছে।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।