নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্রী ফাহিমা আক্তার হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগন।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টা থেকে রাজগঞ্জ বাজারে রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় প্রায় দুই হাজার এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা ফাহিমা আক্তার হত্যার সাথে জড়িত হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি মাইজদীর অনন্তপুরে শ্বশুরদের ভাড়া বাসায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় ফাহিমা আক্তারের। ফাহিমা আক্তার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আলমপুর গ্রামের সর্দার বাড়ীর বেল্লালের মেয়ে।
জানা যায়, গত বছরের ২৫ জানুয়ারি এখলাশপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কামদেবপুর গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে সাইফুল ইসলাম রাসেলের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফাহিমা আক্তারের। ফাহিমা আক্তারের পিতা বেল্লালের দাবি বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে টাকার জন্য শ্বশুরবাড়ীর লোকজন মারধর করতো। তার মেয়ের জামাই রাসেল ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। ব্যবসা স¤প্রসারণের জন্য বাবার বাড়ী থেকে আরো এক লক্ষ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ফাহিমাকে। অসহায় পিতার অভাবের সংসারের কথা চিন্তা করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে বেল্লাল অভিযোগ করেন। মেয়ের বাবা বেল্লাল আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পরও আমাকে জানানো হয়নি। মেয়ের জামাই, দেবর, শ্বশুর মিলে আমার মেয়েকে মেরে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমার মেয়ে মারা গেছে এখন সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। বেল্লাল অভিযোগ করে বলেন, ময়নাতদন্তের পর আমি আমার মেয়েকে বাড়ীতে নিয়ে আসি । গোসলের সময় আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ক্ষত চিহ্ন ছিলো, ডানহাত ভাঙ্গা ছিলো, আঙ্গুল ভাঙ্গা ছিলো, গলা ও পিঠে দাগ ছিলো। তারা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে । আমি তাদের ফাঁসি চাই।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, এই ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলের বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.