নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসকের উপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছে এক ব্যক্তি। একপর্যায়ে চিকিৎসকের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মচারীরা ওই ব্যক্তিকে আটক করে বেঁধে রেখে পুলিশের সোপর্দ করেন। গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) রাত পৌনে আটটার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তির নাম মো. ইয়াসিন (২৫)। তিনি বর্তমানে সোনাইমুড়ী থানার হেফাজতে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি।
ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক নাবিলা চৌধুরী বলেন, শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে তিনি জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমন সময় ইয়াসিন নামের ওই ব্যক্তি জরুরি বিভাগে এসে তার পাশে চেয়ারে বসেন। তিনি তাঁর কাছে জানতে চান মারামারি না দুর্ঘটনার চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তখন ওই ব্যক্তি সঠিক উত্তর না দিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন এবং তাকে মারার জন্য চেষ্টা করেন। এ সময় জরুরী বিভাগে দায়িত্ব পালনরত ওয়ার্ড বয় ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় বার তার দিকে তেড়ে আসেন তাকে মারার জন্য। মারতে ব্যর্থ হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাখা তার প্রাইভেট কারের কাঁচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় আশপাশ থেকে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীরা এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে বেঁধে রাখেন।
চিকিৎসক নাবিলা চৌধুরী জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি তাৎক্ষণিক সোনাইমুড়ী থানায় ফোন দেন। ফোন দেওয়ার প্রায় আধাঘন্টা পরে পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এরপর আটক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালনে চরম নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক ইশরাত জাহান বলেন, বিকেলের পালায় জরুরী বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে শনিবার রাতে কর্তব্যরত নারী চিকিৎসক নাবিলা চৌধুরী বহিরাগত এক ব্যক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তি নারী চিকিৎসকের দিকে একাধিকবার তেড়ে যান তাকে মারার জন্য। এক পর্যায়ে নারী চিকিৎসকের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারের কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারী ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর হামলার চেষ্টার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যক্তিকে তাদের হেফাজতে নেয়। আটক ব্যাক্তি বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.