নোয়াখালীর চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম’সহ জেলায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৩ জন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৭৯ জন।
শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে জেলার সদরে ৯, সুবর্ণচরে ২, চাটখিলে ১, সেনবাগে ৮, কোম্পানীগঞ্জে ১ ও কবিরহাট উপজেলায় ২জন রয়েছে। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৯জন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৩০ জন। যাদের মধ্যে কোভিড হাসপাতাল শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ভর্তি আছেন ১৯জন।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, চাটখিল থানার ওসির করোনা পজিটিভ এসেছে। থানার অন্য পুলিশ সদস্যদের নেগেটিভ আসছে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তিনি বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন। শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি সুস্থ্যতার জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে জনগনের মধ্যে সর্তকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফজলুল হক বাকের অপু জানান, উপজেলায় নতুন করে ২জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ঘোষবাগে ১ জন ও রামেশ্বপুরে ১জন রয়েছেন। উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৬২জন।
উপজেলা ভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যাঃ জেলায় মোট আক্রান্ত ৪৭৯জন। বেগমগঞ্জে ২২৬, কবিরহাটে ৬২, সদরে ৮০, চাটখিলে ৩১, সোনাইমুড়ীতে ২৮, সুবর্ণচরে ১৭, সেনবাগে ২১, কোম্পানীগঞ্জে ৮ ও হাতিয়ায় ৬জন রোগী রয়েছে। যাদের মধ্যে মারা গেছেন, সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮), বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) ও আমিনুল ইসলাম মিন্টু (৪৭) নামের দুই ব্যবসায়ী, সোনাইমুড়ীতে ফখরুল ইসলাম বাচ্চু (৫৯) নামের এক কৃষক, বেগমগঞ্জের কুতুবপুরে শহিদুর রহমান (৬৬), চৌমুহনী পৌরসভা করিমপুরের বেলাল উদ্দিন (৫৭), চৌমুহনী পৌরসভার পশ্চিম গণিপুর হাজী আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৭৪), নরোত্তমপুরে জতন লাল সাহা (৬৫), সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটার মাঈন উদ্দিন মানিক (৬৫) ও নোয়াখালী পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড জয়কৃষ্ণপুরের আব্দুর রাজ্জাক ফারুক (৫৫)।