নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে যুবকে চুরিকাঘাত, গ্রেফতার-২

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩
নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে যুবকে চুরিকাঘাত, গ্রেফতার-২

সবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালী সুবর্ণচরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও চাঁদা না পেয়ে এক যুবককে চুরিকাঘাতে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে, একই সাথে নদগ টাকা লুট ও হোন্ডা ছিনিয়ে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা, খবর পেয়ে হেলাল নামের একজনকে ঘটনাস্থ থেকে আটক করেছে চরজব্বর থানা পু্লশি। পরদিন সামছুউদ্দিন নামের আরেক আসামিকে আটক করে চরজব্বর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আহতের বড় ভাই ইউপি সদস্য শাহজাহান ১১ জনকে আসামি করে চরজব্বর থানায় এজাহার দায়ের করেন।

ঘটনাটি ঘটে ২৪ এপ্রিল রাত ৯ টায় ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সমিতির বাজারে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

 

আহত জিয়াউর রহমান (২৬) উত্তর ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের পুত্র ও চরজব্বর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শাহজাহান এর ছোট ভাই। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের ১০১ নং ওয়ার্ডের ১ নং বেডে চিকিৎসাধিন। আহত জিয়াউর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক বলে বাদী করেন তার ভাই ছাত্রলীগ নেতা লোকমান হোসেন সাগর।

 

অভিযুক্ত হামলাকারিরা হলেন, উত্তর ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত গোলাপের রহমানের পুত্র ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আজাদ(৪৮), নিজাম উদ্দিনের পুত্র নাজিম (৩০), মৃত ছিদ্দিক উল্যাহর পুত্র রাসেদ (৩০), রিদন (২৫), রবিউল হক মাঝির পুত্র হেলাল (২৮), মৃত মজিবুল হকের পুত্র সামছু উদ্দিন সামছু (৫০), রুহুল আমিনের পুত্র ফারুক (২৮), মৃত শাহজানের পুত্র হাবিব উল্যাহ (২৮), রায়হান (২৬), নুর আহম্মদের পুত্র আব্দুর রহিম (২৩), হোরন এর পুত্র জসিম (৩০)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের একটি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদল।

 

আহত জিয়াউর রহমানের ভাই ইউপি সদস্য শাহজাহান বলেন, আজাদ গত নির্বাচনে আমার সাথে হেরে গিয়ে এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছি তারা বহুবার আমার এবং আমার পরিবারের ওপর হামলা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো, আমার ভাই হারিছ চৌধুরী বাজারের ব্যবসা করার সুবাধে বিভিন্ন সময় তার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিলো, ঘটনারদিন রাতে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন জায়গায় টাকা কালেকশন শেষে সমিতির বাজার পৌঁছালে অভিযুক্তরা তার কাছে পূনরায় চাঁদা বাদী করে সে চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়িয়ে পিটিয়ে জখম করে, পেটের ২ পাশ এবং হাতে চুরিকাঘাত করে এবং তার সাথে থাকা নগদ টাকা এবং তার ব্যবহারিত মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে থাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করা হয়।

 

থানায় খবর দিলে চরজব্বর থানার এসআই ওয়ারেস হেলালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরদিন সামছুদ্দিনকেও আটক করে চর জব্বর থানা পুলিশ।

 

অভিযুক্ত আজাদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবী করে বলেন আমি এসে দেখি তারা দুগ্রুপে মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে, এর মধ্যে দোকানের ঝাঁপ পড়ে জিয়াউর আহত হয়।

 

এ ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান আহত জিয়াউর রহমানের পরিবার ও এলাকাবাসী।

 

চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবেনা, যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে সকলকে এর দায়ভার নিতে হবে, তিনি সঠিক তদন্তের মাধ্যেমে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 

চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) জয়নাল আবেদিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, ৪ নং এবং ৭ নং আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০