এনকে বার্তা অনলাইন ডেস্ক:
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা। ভাগ্যবান এই নারীর বয়স এখন ১১৭ বছর। মারিয়া ১৯০৭ সালের ৪ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। আট বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে স্পেনে চলে আসেন। সেখানেই বেড়ে ওঠা।
গত ২৩ বছর ধরে রেসিডেন্সিয়া সান্তা মারিয়া দেল তুরা নার্সিংহোমে বসবাস করছেন মারিয়া। তার শ্রবণশক্তি কম। এটি তার ছোটবেলা থেকেই। যখন তার বয়স আট বছর সে সময় তারা আমেরিকা থেকে স্পেনে আসছিলেন। জাহাজে তার ভাইদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে পড়ে যান এবং তখন থেকেই তিনি এক কানে স্থায়ী ভাবে শুনতে পান না। তবে চলাফেরার সমস্যা ছাড়া মারিয়ার কোনো শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নেই।
কয়েকদিন আগেই তিনি তার ১১৭ তম জন্মদিন পালন করেন পরিবার এবং নার্সিংহোমের বন্ধুদের সঙ্গে। মারিয়ার নার্সিংহোমের পরিচালক ইভা ক্যারেরা বয়েক্স গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, সবার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে মারিয়া কৃতজ্ঞ। অসংখ্য মানুষ তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ায় তিনি খুশি।
বিশ্বে যাচাই-বাছাই শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমানে মারিয়া হচ্ছেন ১২তম সবচেয়ে বয়সী ব্যক্তি। তিনি যদি ১১৮তম জন্মদিন উদযাপন করতে পারেন, তাহলে এ তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে আসবেন। মারিয়ার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষ ছিলেন ফরাসি নারী লুসিল র্যানডন। তিনি ১১৮ বছর বয়সে মারা যান।
মারিয়া ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি এবং সেই সঙ্গে স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধ (১৯৩৬-১৯৩৯) দেখেছেন। তখনকার অনেক খারাপ স্মৃতিও রয়েছে তার। ১৯৩১ সালে জোয়ান মোরেট নামে একজন কাতালান ডাক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় মারিয়ার। তাদের তিনটি সন্তান হয়।
১৯৭৬ সালে তার স্বামী মারা যান। এরপর ৮৬ বছর বয়সে তার ছেলেও ট্র্যাক্টর দুর্ঘটনায় মারা যান। একা হয়ে পড়েন মারিয়া। তখন থেকেই নার্সিংহোমে থাকতে শুরু করেন মারিয়া। মারিয়া কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে যান। তবে ১১৩ বছর বয়সে ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান মারিয়া। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কোভিড-১৯ বেঁচে থাকা ব্যক্তি হয়ে ওঠেন মারিয়া।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড অব রেকর্ড।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.