ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন কমিশনার নিয়োগ, পূর্ণতা পেল বিএসইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০ ৩০২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এক কমিশনারের শূন্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন সদ্যসাবেক শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। এর ফলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিএসইসির কমিশন পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল।

মঙ্গলবার (২ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আবদুল হালিমকে বিএসইসির কমিশনার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চার বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়োগের তারিখ হতে তার মেয়াদ শুরু হবে।

গত ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। আর ২০ মে নিয়োগ পান দুই কমিশনার। আগে থেকে একজন কমিশনার ছিলেন দায়িত্বে ছিলেন। আজ নতুন আরেকজনকে নিয়োগের ফলে কমিশনের চার কমিশনারের পদ পূর্ণ হয়। আর শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূর্ণতা পেয়েছে। ৯ বছর পর এসে নতুন করে বিএসইসি পুনর্গঠিত হয়।

এর আগে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারির পর বিধ্বস্ত শেয়ারবাজার মেরামতের জন্য পুনর্গঠিত বিএসইসির দায়িত্বে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তার হাত ধরে শেয়ারবাজারে বেশ কিছু আইনি সংস্কার হলেও বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। ফলে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারিতে বিধ্বস্ত শেয়ারবাজারে প্রাণ ফেরেনি।

দীর্ঘ নয় বছর দায়িত্ব পালনকালে শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় খায়রুল কমিশন। যার বেশির ভাগই ছিল মানহীন। এ কারণে মানহীন কোম্পানির অনুমোদন দিয়ে বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন খায়রুল কমিশন। আর গত ১৪ মে যখন বিদায় নেন তখন বাজারকে রেখে যান ২০১১ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থায়। বাজারের পতন ঠেকাতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম।

শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশনের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্জ চরম আস্থাহীন বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো।করোনায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি ও ব্যবসা–বাণিজ্যের বিপুল ক্ষতির মধ্যে শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে শিবলী কমিশনকে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন তারই বিদ্যাপীঠের দুইজন শিক্ষক ও প্রশাসন ক্যাডারের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

নতুন কমিশনার নিয়োগ, পূর্ণতা পেল বিএসইসি

আপডেট সময় : ১০:০৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০

প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এক কমিশনারের শূন্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন সদ্যসাবেক শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। এর ফলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিএসইসির কমিশন পূর্ণাঙ্গ রূপ পেল।

মঙ্গলবার (২ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আবদুল হালিমকে বিএসইসির কমিশনার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চার বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়োগের তারিখ হতে তার মেয়াদ শুরু হবে।

গত ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। আর ২০ মে নিয়োগ পান দুই কমিশনার। আগে থেকে একজন কমিশনার ছিলেন দায়িত্বে ছিলেন। আজ নতুন আরেকজনকে নিয়োগের ফলে কমিশনের চার কমিশনারের পদ পূর্ণ হয়। আর শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূর্ণতা পেয়েছে। ৯ বছর পর এসে নতুন করে বিএসইসি পুনর্গঠিত হয়।

এর আগে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারির পর বিধ্বস্ত শেয়ারবাজার মেরামতের জন্য পুনর্গঠিত বিএসইসির দায়িত্বে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তার হাত ধরে শেয়ারবাজারে বেশ কিছু আইনি সংস্কার হলেও বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি ব্যর্থ হন তিনি। ফলে ২০১০ সালের কেলেঙ্কারিতে বিধ্বস্ত শেয়ারবাজারে প্রাণ ফেরেনি।

দীর্ঘ নয় বছর দায়িত্ব পালনকালে শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় খায়রুল কমিশন। যার বেশির ভাগই ছিল মানহীন। এ কারণে মানহীন কোম্পানির অনুমোদন দিয়ে বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন খায়রুল কমিশন। আর গত ১৪ মে যখন বিদায় নেন তখন বাজারকে রেখে যান ২০১১ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থায়। বাজারের পতন ঠেকাতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম।

শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশনের সামনে তাই বড় চ্যালেঞ্জ চরম আস্থাহীন বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো।করোনায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি ও ব্যবসা–বাণিজ্যের বিপুল ক্ষতির মধ্যে শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে শিবলী কমিশনকে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন তারই বিদ্যাপীঠের দুইজন শিক্ষক ও প্রশাসন ক্যাডারের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে।