প্রতিবেদক:
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আড়াই শতাংশের বেশি হবে না বলে মন্তব্য করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। রোববার (৭ জুন) সিপিডি আয়োজিত ‘জাতীয় অর্থনীতির পর্যালোচনা ও আসন্ন বাজেট চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিমত তুলে ধরেন।
ব্রিফিংয়ে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা যদি ধরে নিই অর্থবছরের বাকি যে সময় আছে তাতে ভালো প্রবৃদ্ধি হবে, তারপরও প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হবে না। অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো সিনারিও যদি আমরা এই বছরের জন্য চিন্তা করি তাহলেও আমাদের ধারণা এর চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে না।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রতিবেদন তুলে ধরতে গিয়ে তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যদি ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি, তাহলে তা যথেষ্ট খারাপ না। বিশ্বের অনেক দেশ এই সময়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে চলে গছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও এই ধরনের আশঙ্কা করা হয়েছে।’
চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে, পাঁচটি খাত সরাসরি বড় অসুবিধায় পড়েছে। এর মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং ও কন্সট্রাকশন খাত প্রত্যক্ষভাবে বড় সমস্যায় পড়েছে এবং হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও পরিবহন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়ে সিপিডির এই গবেষক আরও বলেন, ‘সাধারণত আমাদের নীতি, পরিবেশ-পরিস্থিতি যদি বিবেচনা করি দেখি, জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে বেগবান করার জন্য বড় গুরুত্ব থাকে। এটাই প্রধান বলে অনেক সময় অনেক নীতি-নির্ধারকরা বলে থাকেন। কিন্তু বর্তমান সময় অত্যন্ত ভিন্ন ধরনের। এই সময়ে প্রবৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর না দিয়ে বরং আমাদের মানুষের জীবন বাঁচানোকে সবচেয়ে বেশি প্রাধিকার দিতে হবে।’