ডেস্ক::
চীন, ইরান, ইতালি, স্প্যান, ফ্রান্স, জার্মান, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, মেক্সিকো, পেরু, তুরস্ক, রাশিয়া, ব্রাজিল, ভারত করোনার ধারাবাহিক হটস্পট। শেষের চারটি বাদে বাকি দেশগুলোয় সংক্রমণ এখন কমতির দিকে। হটস্পট হিসেবে একটি দেশ সর্বোচ্চ দেড়-দুই মাস থাকে। আমাদের দেশ হটস্পটে ডুকে যাচ্ছে তাই জুন-জুলাইয়ে আমাদের অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য মানসিক প্রস্তুত থাকতে হবে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গণহারে করোনা আক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশে। তার মানে যে কেউ যখন-তখন করোনায় আক্রান্ত হওয়াটায় স্বাভাবিক তাতে দোষ বা লজ্জার কিছুই নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী, হেভিওয়েট সেলিব্রিটি পর্যন্ত আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। আমাদের দেশের অনেক মন্ত্রী, শিল্পপতি বা সেলিব্রিটি ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগে আক্রান্ত হওয়া লজ্জা বা দোষের কিছু নয়। আমার মনে হয় সংকীর্ণতাটা আমরাই তৈরি করছি।
করোনায় আক্রান্ত হওয়াকে কি আমাদের দেশে ভয়ঙ্কর পাপ হিসেব গণ্য করা হয়? তা না হলে কারও পরিবারের সদস্য বা নিকটাত্মীয় আক্রান্ত হলে প্রকাশ তো করছেই না বরং তা কঠোরতার সঙ্গে গোপন করছে। আগে কেউ সামান্য অসুস্থ হলে ফেসবুকে বা মসজিদে দোয়া চাওয়া হতো, আজ ৯০ দিনে এই দোয়া চাওয়া আমার চোখে পড়েনি। সবাই এখন অসুস্থতার কথা গোগন করছে অথচ ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে এই রোগ যত প্রকাশ করবে ততই মঙ্গল। অন্যরা সাবধান হয়ে আত্মরক্ষা করতে পারবে।
করোনাকে লজ্জায় অনেকে নিউমোনিয়া বলে ডাকছে। যার দরুন খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। এই সময়টায় আমাদের দেশে বয়স্কদের নিউমোনিয়ার রেকর্ড নেই বললেই চলে। তাছাড়া করোনায় আক্রান্তের জটিল স্তরটি নিউমোনিয়া। তাই করোনা পজিটিভ হলে দ্রুত ঘোষণা দেওয়া উচিত যাতে নতুন কেউ সংক্রমিত না হয়।
ড. বিজন কুমার শীলের কথাগুলো খুবই বাস্তবিক মনে হয়েছে
“ ঘূর্ণিঝড় যখন আসে তখন সে সব গাছের ওপরেই প্রভাব ফেলে। দুর্বল গাছ ভেঙে যায়, শক্তিশালীগুলো টিকে থাকে। করোনাভাইরাসও আমাদের কাউকেই ছাড়বে না, আমরা যতই পালিয়ে থাকি না কেন। তবে আমরা বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে যাব। যারা অন্য রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য এটি বেশি ক্ষতির কারণ হবে। আগের মহামারিগুলো বিশ্লেষণে বুঝা যায়, খুব বেশিদিন এই মহামারির প্রাদুর্ভাব থাকবে না। আমরা ইতোমধ্যে ছয় মাস বা অর্ধ বছর সময় পাড়ি দিয়েছি, এক-দেড় বছরের বেশি মহামারিগুলো আগের মতো ভয়ঙ্কর অবস্থানে থাকে না। ইনশাআল্লাহ সামনের বছর এই সময় হয়তো আমরা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে থাকব। কাল একদিনে বজ পাতে ২০ জন মারা গেছে কিন্তু ঝড় বা বজ পাতের সময়টা খুব বেশি ছিল না। তেমনি এই ঝড় খুব বেশি সময় থাকবে না, সামনে আলো আসবেই ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এই করোনা ঝড় চলাকালীন সময়ে বয়স্ক ও জটিল রোগে আক্রান্তরা শেল্টার সেন্টার বা আশ্রয়কেন্দ্রে অর্থাৎ বাসায় থাকুন।
লেখক: প্রভাষক, বনানী বিদ্যানিকেতন কলেজ
সূত্র: শেয়ার বীজ
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.