নোয়াখালী প্রতিনিধি::
নোয়াখালী কবির হাট উপজেলার নরোওমপুর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের সদস্য শাহাদাত হোসেন মাসুদকে নিয়ে ফেসবুকে বুকে অপ-প্রচারের প্রতিবাদে আজ দুপুরে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করা হয় । সংবাদ সম্মেলেন শাহাদাত হোসেন মাসুদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি, আর তখন থেকে মানুষকে ভালোবেসে তাদের পাশে দাঁড়াতাম। বর্তমানেও আমি সামাজিক কাজকর্ম অংশগ্রহন করি এবং অসহায় মানুষকে সহযোগীতা করে যাচ্ছি। মহামারী করোনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও আমার নেতা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি এবং কবির হাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলির নির্দেশনায় আমার নিজ অর্থায়নে নরোওমপুর ইউনিয়নে ১৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা করেছি ।
করোনায় আক্রান্তদের খাবার দিয়ে তাদের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিয়েছি। এ ছাড়াও আমার এক আত্মীয় ও সম্রাটের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধি ভাতা একশ ভাগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে আমি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করি । আমি নিজে কারো কাছ থেকে সরাসরি কোন কাগজপত্র সংগ্রহ করিনি । আমার এসব কাজে ইর্ষান্বিত হয়ে ইউনিয়নের কিছু কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে । তারা কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও অনলাইন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালায় । আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই । ফেসবুক আইডি এবং অনলাইনে যাদের নাম ব্যবহার করে অপ-প্রচার চালিয়েছে তাদের অনেকেই এখানে উপস্থিত রয়েছেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন আমি তাদের থেকে কোনো টাকা নিয়েছি কিনা । আমি এ ব্যাপারে কবিরহাট থানায় ৮ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি যার নাম্বার ২৯৩ । আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি । আমি ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করবো এবং আইনের মাধ্যমে এদের শাস্তির দাবি করছি ।
যাদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনের সময় বেশ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে আবুল খায়ের নামের এক প্রতিবন্ধি ভাতার জন্য কাগজ পত্র দিয়েছে বলে তিনি জানান, আমার থেকে মাসুদ কিন্বা তার লোক কোন টাকা নেয়নি এবং তারা আমাকে ফুসলিয়ে মাসুদের বিরুদ্ধে কথা গুলো বলতে বলায় আমি তাদের কথায় লোভে পড়ে এসব বলেছি। আবু বক্কর নামের আরেক প্রতিবন্ধি তিনিও মাসুদকে টাকা দেয়ার বিষয়ে অ-স্বীকার করে বলেন, যে আমরা গরীব নিরহ মানুষ সে আমাদেরকে বিনামুল্যে এসব কাজ কর দেয় সব সময়। শেষে আলেয়া বেগম, বেবি ও বেলালের মা এবং হুক্কু নামের আরো ৪জন ব্যাক্তিও কাউকে টাকা দেয়নি বলে জানান এবং তাদের নাম ব্যাবহার করে অহেতুক মিথ্যাচার চালাচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.