নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম রবিন (২০) পলাতক রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় সুন্দলপুর ৬নং ওয়ার্ড বারিপুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে ওই ছাত্রীর মা একটি অটোরিকশা যোগে সেনবাগ উপজেলায় তার নানার বাড়ীতে যায়। এ সুযোগে পাশ্ববর্তী বাড়ীর সামছু জামান মানিকের বখাটে ছেলে আব্দুর রহিম রবিন ওই ছাত্রীর ঘরে ডুকে তাদের খাটের নিছে লুকিয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাহিরের কাজকর্ম শেষ করে ভিকটিম ঘরে ডুকলে রবিন তাকে ঝাপটে ধরে মারধর করে তার হাত মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় তাদের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পাশ্ববর্তী এক গৃহবধূ ঘর থেকে ধস্তাধস্তি ও ভিকটিমের চিৎকার শুনে ঘরে ডুকলে ধর্ষক রবিন পালিয়ে যায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের আসা যাওয়ার সময় প্রায় বিরক্ত করতো বখাটে রবিন। বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিলেও ছাত্রী রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে রবিন।
কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনায় ধর্ষীতা ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আব্দুর রহিম রবিনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সকালে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।