ব্রাসেলসে ইইউ নেতারা অর্থনৈতিক মন্দা এড়ানোর চেষ্টায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

ইউরোপে করোনাভাইরাস সংকটের অর্থনৈতিক প্রভাব এড়াতে প্রস্তাবিত কর্মসূচি সম্পর্কে মতবিরোধ কাটছে না। করোনা সংকটের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা ভার্চুয়াল স্তরে আলোচনার পর তারা আবার সশরীরে মিলিত হয়েছেন। শুক্রবার ব্রাসেলসে ২৭টি সদস্য দেশের সরকারপ্রধান এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশ নেন। এ বৈঠকে চলতি সপ্তাহান্তেও নেতারা মতবিরোধ কাটাতে ব্যর্থ হলে জুলাই মাসে তৃতীয় সম্মেলনে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। খবর: ডয়েচে ভেলে।

করোনা সংকটে বিপর্যস্ত ইউরোপের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি ইউরোর প্রস্তাবিত কর্মসূচি সম্পর্কে এখনও তারা ঐকমত্যে আসতে পারেননি। দ্বিতীয় প্রচেষ্টা সফল করার জন্য শীর্ষ নেতাদের ওপর চাপ বাড়ছে।

ইইউ নেতারা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। এ রাষ্ট্রজোট গঠিত হওয়ার পর এত বড় মন্দার আশঙ্কা দেখা যায়নি। সেই বিপদ এড়াতে ইউরোপীয় স্তরে জোরালো উদ্যোগ সম্পর্কেও তাদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই। কিন্তু খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ কাটছে না। তহবিলের অঙ্ক থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি ইইউ বাজেটের মধ্যে সেই পুনরুদ্ধার কর্মসূচি অন্তর্গত করার প্রশ্নে ঐকমত্য অর্জন করা যাচ্ছে না। ঋণভার ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে নীতিগতভাবে মৌলিক পার্থক্য থেকে গেছে।

এ অবস্থায় আপস প্রস্তাব হিসাবে ৭৫ হাজার কোটি ইউরো দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব এনেছেন ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল। ৫০ হাজার কোটি ইউরো ঋণ এবং ২৫ হাজার কোটি ইউরো অনুদান হিসেবে বণ্টনের মাধ্যমে সংশয় দূর করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে ‘ফ্রুগাল ফোর’ বলে পরিচিত নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, সুইডেন ও ডেনমার্ক অনুদানের অঙ্ক যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি ইইউ বাজেটের অঙ্কও সামান্য কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মিশেল।

গতকাল শনিবারের মধ্যে ইইউ নেতারা পুনরুদ্ধার কর্মসূচি সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছাবেন বলে সম্ভাবনা দেখা দেয়। তা সত্ত্বেও নতুন করে ব্যর্থতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সম্মেলন আজ রোববার পর্যন্তও গড়াতে পারে। তাতেও লাভ না হলে চলতি মাসেই তৃতীয় প্রচেষ্টার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। তখন গ্রীষ্মকালীন বিরতির আগে ইইউ

নেতারা আরেকটি সম্মেলনে এ প্রস্তাব অনুমোদন করতে পারেন।

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে, এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দুনিয়াজুড়ে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৩ জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল গত ১২ জুলাই। সেদিন মোট দুই লাখ ৩০ হাজার ৩৭০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০