ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মে ২০২০ ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় সর্দি, জ্বর, কাশি ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে মো. সোহেল (২৫) এবং ইমাম হোসেন (৬০) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের দু’টি পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। এনিয়ে গত এক সপ্তাহে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬জন।

মঙ্গলবার দুপুরের পৃথক সময় তাদের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চিলাদি গ্রামের নতুন মোল্লা বাড়ী শাহজাহানের ছেলে সোহেল (২৫) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড জমদার বাড়ীর জয়নাল আবেদিনের ছেলে ইমাম হোসেন (৬০)।

সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, উপজেলার চিলাদি গ্রামের সোহেল গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এরপর থেকে সে বাড়ীতে ছিল। স্থানীয়দের ভাষ্য মঙ্গলবার দুপুরে সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ীতে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দ্রুত তার বাড়ীতে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে মৃত সোহেলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার সকালে তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে সবগুলো নমুনা বাংলাদেশ ইনস্ট্রিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।

এদিকে, বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, চৌমুহনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমাম হোসেন গত ১০-১২দিন ধরে জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়ীতে তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে তার বাড়ীতে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হলেও ধেরি হয়ে যাওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের ৭জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তারা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। মৃত ওই ব্যক্তি চৌমুহনী বাজারের একটি মাছের আড়ৎ এ কাজ করতো বলে জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ৪মে সোমবার দুপুরে মারা গেছেন সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামে রেশমা আক্তার নামের এক গৃহবধূ। ৩মে রবিবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউসুফ নামের চৌমুহনীর এক বাসিন্দা। ৩মে রবিবার সকালে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে মারা গেছেন মাদ্রাসা ছাত্রী সামিয়া আক্তার। তার বাড়ী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলি গ্রামে। গত ৩০এপ্রিল বুধবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্যা এলাকার বাসিন্দা রোকসানা আক্তার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

নোয়াখালীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মে ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় সর্দি, জ্বর, কাশি ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে মো. সোহেল (২৫) এবং ইমাম হোসেন (৬০) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের দু’টি পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। এনিয়ে গত এক সপ্তাহে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬জন।

মঙ্গলবার দুপুরের পৃথক সময় তাদের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চিলাদি গ্রামের নতুন মোল্লা বাড়ী শাহজাহানের ছেলে সোহেল (২৫) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড জমদার বাড়ীর জয়নাল আবেদিনের ছেলে ইমাম হোসেন (৬০)।

সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, উপজেলার চিলাদি গ্রামের সোহেল গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। এরপর থেকে সে বাড়ীতে ছিল। স্থানীয়দের ভাষ্য মঙ্গলবার দুপুরে সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ীতে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দ্রুত তার বাড়ীতে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে মৃত সোহেলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার সকালে তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে সবগুলো নমুনা বাংলাদেশ ইনস্ট্রিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।

এদিকে, বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, চৌমুহনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমাম হোসেন গত ১০-১২দিন ধরে জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়ীতে তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে তার বাড়ীতে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হলেও ধেরি হয়ে যাওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের ৭জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তারা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। মৃত ওই ব্যক্তি চৌমুহনী বাজারের একটি মাছের আড়ৎ এ কাজ করতো বলে জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ৪মে সোমবার দুপুরে মারা গেছেন সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামে রেশমা আক্তার নামের এক গৃহবধূ। ৩মে রবিবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউসুফ নামের চৌমুহনীর এক বাসিন্দা। ৩মে রবিবার সকালে সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে মারা গেছেন মাদ্রাসা ছাত্রী সামিয়া আক্তার। তার বাড়ী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলি গ্রামে। গত ৩০এপ্রিল বুধবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্যা এলাকার বাসিন্দা রোকসানা আক্তার।