পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আ'লীগ নেতা আলী হোসেন মুন্সীর হাত কর্তনের ঘটনায় পেকুয়া থানায় ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে। যার নং-১১/২০। আলী হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম বাদি হয়ে গতকাল রবিবার মামলাটি রুজু করেন।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন পেকুয়া সদর ইউপির মইয়াদিয়া গ্রামের আশরাফ মিয়ার ছেলে আলমগীর,ছোট ভাই আবছার উদ্দিন পুতু, মা আয়েশা বেগম,স্ত্রী শারমিন আক্তার, শ্যালক একই এলাকার মৃত,জহির আলমের ছেলে হুমায়ন কবির,শাশুরী তাহেরা বেগম ও মৃত,শাহ আলমের ছেলে জাফর আলম। জানা গেছে,গত ২৮ আকষ্ট (শুক্রবার) সকালে সদর ৩ নং ওয়ার্ড আ'লীগের সহ-সভাপতি আলী হোসেন মুন্সীকে ধারালো দা দিয়ে নৃশংসভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে আলমগীর।
এ সময় আলী হোসেন মুন্সীর ডান হাতের কব্জি কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। প্রায় দুই ঘন্টা পর মইয়াদিয়া ষ্টেশনের রাস্তার পাশে ধানি জমির একটি পুকুর থেকে পাম্প মেশিন বসিয়ে পানি নিস্কাশন করে তার কাটা হাত উদ্ধার করে পুলিশ ও স্থানীয়ার। ওইদিন আ'লীগ নেতা আলী হোসেন মুন্সী মইয়াদিয়া ষ্টেশন থেকে ইজিবাইকে উঠেন। তিনি পেকুয়া বাজারের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। এ সময় ওতপেতে থাকা আলমগীর গাড়ি গতিরোধ করে প্রকাশ্যে সিনেমা ষ্টাইলে কুপিয়ে বুক চিতিয়ে চলে যান। আলী হোসেন মইয়াদিয়া গ্রামের মৃত.নুর আহমদের ছেলে। তিনি ওমান প্রবাসী। কয়েক মাস আগে দেশে সফরে আসেন। জানা গেছে,আলী হোসেন মুন্সী ও আলমগীর আপন চাচা-ভাতিজা। স্থানীয় ও থানা সুত্রে জানা গেছে, গত ১৪জুন আলী হোসেন মুন্সীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল নাঈমা মুন্নী অপহরনের শিকার হন।
আলী হোসেন বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় (০৫/২০) একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। ভাতিজা আলমগীর ওই মামলার ২নং আসামি। গত দেড় মাস আগে আলমগীর ওই মামলায় কারাগারে যান। সম্প্রতি তিনি কক্সবাজার কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। মামলার বাদি আমেনা বেগম জানায়, প্রায় তিন মাস আগে আমার মেয়েকে অপহরন করা হয়েছে। মেয়েকে এখনো উদ্ধার করতে পারেননি পুলিশ। মুল হোতা হুমায়নকেও গ্রেপ্তার হয়নি। আমার মেয়েকে নিয়ে শংকিত রয়েছি। আ'লীগ নেতা আলী হোসেন জানায়, আলমগীর মেয়ে অপহরন মামলার ২নং আসামি। যেদিন পুলিশ তাকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছিল সেদিন থানায় পুলিশের সামনে আমার হাত কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছিল।
জেল থেকে বের হয়ে প্রকাশ্যে হাত কেটে নেয়ার ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। পুলিশকে হত্যার বিষয়ে কয়েকবার জানিয়েছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার মেয়েকেও উদ্ধার করার চেষ্টা করেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয়রা জানায়,আলমগীরের শ্যালক হুমায়নের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্নীর। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে।
ওসি কামরুল আজম জানায়, মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের টিম কাজ করছে। আশা করি দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.