প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ১:১৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১১, ২০২০, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
বিবস্ত্র করে গৃহবধূ নির্যাতন, প্রধান আসামীর স্বীকারোক্তি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় প্রধান আসামী বাদল ও সাজুর ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নিয়ে রহমত উল্যাহসহ তাদের তিনজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্তদল ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন।
রবিবার বিকালে আসামীদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে হাজির করা হয়।
নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নোয়াখালী ইন্সেপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জানান, সকালে তিনিসহ ৫সদস্যের একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় ঘটনস্থল থেকে ৩টি বালিস, বিছনা চাদর, ফাটি (বিছানা), পাশের একটি বাড়ী থেকে সন্দেহজনক ব্যক্তির নামের একাধিক জন্মতারিখ দেওয়া বেশ কয়েকটি জন্ম নিবন্ধনকার্ড’সহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে ঘটনারদিন বাদলের পরনে থাকা ফ্যান্টও উদ্ধার করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, রবিবার বিকালে তিন আসামীর মধ্যে ৪দিনের রিমান্ড শেষে রহমত উল্যাহকে (বাদলের বাবা) সরাসরি কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী বাদল ও সাজুকে নির্যাতনের মামলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলী আদালতে হাজির করা হলে আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম মাসফিকুল হক ১৬৪ধারায় তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে তাদের পণ্যগ্রাফী মামলায় ৫নং আমলী আদালতে হাজির করলে আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম নবনীতা গুহু ১৬৪ধারায় তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। জাবনবন্দী রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২সেপ্টেম্বর রাতে ওইনারীর আগের স্বামী তার সাথে দেখা করতে তার বাবার বাড়ী একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখে পেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পর পুরুষের সাথে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন করে। ৪অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েল জেলায় তথা দেশ ব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এদিকে ৮অক্টোর বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূর দায়ের করা নির্যাতন ও পণ্যগ্রাফী মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.