সোনাগাজীতে ইউপি চেয়ারম্যানের ধমকে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০

সাহেদ সাব্বির, ফেনী:

 

ফেনীর সোনাগাজীতে ছেলের বিয়ের কাবিনের টাকা দেওয়া নিয়ে ২নং বগাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসহাক খোকনের ধমকে আবু তাহের (৬০) নামে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধের পরিবার।

 

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরদিন রোববার বিকেলে আবু তাহেরের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। মৃত আবু তাহের ওই ইউনিয়নের বাদুরিয়া গ্রামের আলেকী বাপের বাড়ির মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।

 

বৃদ্ধের ছেলে মো: রাসেল, জেঠাত ভাই খায়ের আহমদ, জাকির হোসেন, ফুফাত ভাই মাহবুবুল হক এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধের পুত্র প্রবাসী আবু ইউসুফ এর সাথে ৪ বছর পূর্বে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ইছাপুর গ্রামের মো: ওমর ফারুকের মেয়ে আইরিন আক্তারের। বিয়ের কয়েকমাস পর আবু ইউসুফ আবারও প্রবাসে পাড়ি জমান। এই সুযোগে তার স্ত্রী পূর্বের প্রেমিক কামরুল ইসলামের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে।

 

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তার বাপের বাড়ি থেকে প্রেমিক কামরুলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন প্রবাসী ইউসুফের স্ত্রী। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামীর দেয়া কানের দুল, গলার চেইন, আংটিসহ আনুমানিক ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।

 

বৃদ্ধার ছেলে মো: রাসেল জানান, পরবর্তীতে আইরিন তার ভাই ইউসুফের নিকট থেকে কাবিনের টাকা দাবি করে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ নভেম্বর তারিখ দুপুর ১২টার সময় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে বৈঠক হয়। এসময় ছেলের পক্ষে সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুর নবী, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন। এবং মেয়ের পক্ষে চেয়ারম্যান খোকন, তার পিতা ওমর ফারুক ও তার প্রেমিক উপস্থিত ছিলেন।

 

রাসেল অভিযোগ করেন, তাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করেই চেয়ারম্যান খোকন কাবিন বাবদ ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে এমন সিদ্ধান্ত দেন। এই টাকা পরিশোধ করতে তার বাবাকে প্রথমে ৩ দিন ও পরে ৭ দিনের সময় দিয়ে ধমকাতে থাকেন। তখন থেকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তার বাবা। পরে রাতে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। পরদিন ২৭ নভেম্বর বিকেলে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ইছহাক খোকন শালিশী বৈঠকে বৃদ্ধ আবু তাহেরের উপস্থিতি ও ধমকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

 

তিনি বলেন, আবু তাহেরের অনুরোধে আমি তার পুত্রবধূর সাথে সৃষ্ট বিরোধ মিমাংশের লক্ষ্যে পল্লী আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্সের বিষয়ে এবং কাবিনের লেনদেনের বিষয়ে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। ২৭ নভেম্বর আমি আবু তাহেরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তার বাড়িতে ছুটে যাই এবং সার্বিক খোঁজ-খবর নিই।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০