নোয়াখালী প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে আজকে যে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেভাবে তাণ্ডব চলছে। আমাকে গুলি করে হত্যার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ পেক্ষাপটে আমি আপনাদের সাথে কিছু খোলামেলা কথা বলে যেতে চাই। এ সুযোগ হয়তো আমার আর থাকবে না। আমার জীবন অবসান ঘটবে, আমাকে হয়তো কারাগারে নিক্ষেপ করবে। কিন্তু আমার আমার সাথে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আছে। বাংলাদেশসহ অধিকাংশ ৯০ ভাগ মানুষ আমার পক্ষে আছে। ইনশাআল্লাহ আমি কোনো কিছুকে ভয় করিনা। আজকে দুঃখজনক হলেও সত্য। আজকে যে তাণ্ডব আমার উপর চলছে। আমার কর্মীদের উপর চলছে। আজকে যে অস্ত্রবাজি আমার উপর হচ্ছে। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের সহধর্মিনী ইসরাতুন্নেসা কাদের সমস্ত ঘটনা আজকে সে পরিচালিত করছে। তার নেতৃত্বে সবকিছু হচ্ছে। সেই আজকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আমার বিরুদ্ধে এবং আমার কর্মিদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে এবং আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। তার অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এখানে আমার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে আমার কর্মিদের নির্যাতন চলছে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মির্জা দুপুর ১২টায় তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজ সাহেব ভালো মানুষ। আমি ওনাকে জানিয়েছি এখানে ডিবি পুলিশ ওসির নেতৃত্বে এসপির নির্দেশে এখানকার ওসি এবং তদন্ত অফিসারের নির্দেশে ওই সন্ত্রাসীদের একটা চক্র নিয়ে আমার কর্মিদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে। আমি ওনাকে জানিয়েছি এখানে ডিবি পুলিশ ওসির নেতৃত্বে এসপির নির্দেশে এখানকার ওসি এবং তদন্ত অফিসার নির্দেশে ওই সন্ত্রাসীদের একটা চক্রকে নিয়ে বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে আমার ছেলেদেরকে তল্লাশি করছে।
অথচ আমার মামলা গুলোয় এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। অথচ ইতিমধ্যে প্রায় আমার ২০ জন নেতাকর্মিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর তাদের লোকজন এখানে ঘোরাফেরা করছে। একরাম চৌধুরীর বউ এবং তার ছেলে শাবাব তারপর সম্রাট একটা ছেলে আছে তারা সিন্ধান্ত নিয়েছে যে আমাকে গুলি করে হত্যা করবে। একটা লাশ ফেলায় আগেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছিল। আবারও এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা করে যাচ্ছে।
কাদের মির্জা আরো বলেন, আমি আজকে বলবো এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, ঘটনার সাথে জড়িত প্রশাসনে যারা আছে নোয়াখালীর এসপি, ডিবির ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে এ চার জনকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তাদেরকে যদি প্রত্যাহার করে না নেওয়া হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্ত্রী আজকে নিজাম হাজারী,একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীদের দিয়ে,আমি গত তিন মাস বলে যাচ্ছি, আমাকে হত্যা করার জন্য, অথবা আমার কর্মিদের হত্যা করার জন্য,না হয় তাদের একটা কর্মিকে হত্যা করে তারা ফাঁসানোর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিবে। আমার অপরাধ আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বলেছি, টেন্ডারবাজি বিরুদ্ধে বলেছি, আমি চাকরি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বলেছি। তারা আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। মন্ত্রীর স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের নেতৃত্বে। আজকে ঢাকা থেকে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জাহাঙ্গীর নামে একটা ছেলে। সে লুটপাট করে খাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আজকে জাহাঙ্গীর এবং জুয়েলে মন্ত্রীর স্ত্রীর নির্দেশে সব করছে। আজকে কোম্পানীগঞ্জের কি চলছে। কারা আওয়ামী লীগের পরিচয় দিচ্ছে।
আজকে মন্ত্রী তার স্ত্রীর চাপে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আর সমস্ত জাহাঙ্গীর এবং জুয়েলকে দিয়ে মন্ত্রীর স্ত্রী করতেছে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকে। মন্ত্রীর স্ত্রী। সেতো এখন ক্ষমতাধর। খবর নেন মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় কে চালায় এখন । এ মহিলার সাথে কারা কারা এখন যোগাযোগ করে। সিঙ্গাপুরে আমার ভাই মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সেখানে এ মহিলা গাজীপুরের জাহাঙ্গীর, নিজাম হাজারী, স্বপন মিয়াজী ফেনীর তথাকতিথ পৌর মেয়র তারা একসাথে বসুন্ধরা গ্রুপসহ অনেক থেকে যত এমপি সেখানে ওনাকে দেখার জন্য গেছে সবার থেকে চাঁদা নিচে
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.