নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিককে আটক হওয়ার ১৫ ঘন্টা পর প্রেমিকের বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকার পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা। এ ঘটনায় অন্তত আরো ৭জন আহত হয়েছে।
নিহত মো.পারভোজ হোসেন (২২), বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের জুবিখালী গ্রামের কাজাগো বাড়ির আবদুর রহিমের ছেলে। সে পেশায় একজন দর্জি ছিল।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের পাঁচ বাড়িয়া এলাকার কুলা বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, জিহাদ (২৮), জাহেদ (২৪), জুয়েল (২৪), নানিক (২৫), রিয়াদ (৩০), ফরহাদ (২৫), আজাদ (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত পারভেজ এর বন্ধু সুজনকে (১৮), সোমবার সন্ধ্যায় তার প্রেমিকার ফোনে কল পেয়ে প্রেমিকার বাড়িতে যায়। সন্ধ্যার দিকে সুজন প্রেমিকার বাড়িতে গেলে প্রেমিকার বাবা শাহ আলম ও এলাকার লোকজন গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় তাকে আটক করে। এভাবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রেমিকার বাবা, ভাই । অন্যথায় তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে বলে জানায়। খবর পেয়ে আটক সুজনের ভাই ও সমাজপতিরা রাতেই প্রেমিকার বাড়িতে যায় সুজনকে ছাড়িয়ে আনতে। রাতে তারা সুজনকে ছাড়িয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে মঙ্গবার সকাল ১০ টা ২০ মিটিনের দিকে সুজনের ভাই, সমাজিপতিরা, বন্ধুরা একত্রিত হয়ে পুনরায় প্রেমিকার বাড়িতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রেমিকার পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আটক প্রেমিক সুজনের বন্ধু পারভেজকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
পরে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর প্রেমিকা স্বপ্না আক্তার, তার পিতা শাহআলম ও ভাইসহ সবাই পালিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসাী জানায়।
বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কারুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক যুবককে প্রেমিকার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।