নোয়াখালী প্রতিবেদক:
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিন্মাঞ্চলের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্নিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে। বুধবার (২৬মে) সকালের দিকে জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাতিয়ার চারপাশের নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়। প্লাবিত গ্রাম গুলো হচ্ছে, মাইচ্ছা মার্কেট, বাদশা মিয়া গ্রাম ও তালুকদার গ্রাম।
এদিকে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে বেড়ীবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে ৯টি গ্রাম । প্লাবিত গ্রাম গুলোর মধ্যে রয়েছে, মোল্লা গ্রাম, মদিনা গ্রাম, ছোয়াখালী গ্রাম, নামার বাজার, চর ওসমান, সিডি এসপি এলাকা, মুন্সি গ্রাম, শতফুল গ্রাম, বাদাম খালী গ্রামসহ ৯টি গ্রাম ৩-৪ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর জানান, হরনী ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রাম গুলো হচ্ছে, কাজির টেক, নবীপুর ও চেয়ারম্যান ঘাট। চানন্দী ইউনিয়নের মোল্লা গ্রাম, চৌধুরী গ্রাম, রাণী গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়াও নলচিরা ইউনিয়নের ২টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গ্রাম গুলো হলো, তুফানিয়া গ্রাম ও নলচিরা গ্রাম।
হাতিয়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক মো. বদিউজ্জামান জানান, হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের সবগুলো গ্রাম প্লাবিত হয়। আর বাকী ইউনিয়ন গুলোর কিছু কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ধারণা করা হচ্ছে উপজেলার ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পুর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্যে ১৮১টি আশ্রায়ন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গত মানুষের জন্যে ইউনিয়ন প্রতি ২লক্ষ ৫০হাজার টাকার শুকনো খাওয়ার মওজুদ রাখা হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.