নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০ দোকান ভস্মিভূত হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন দোকানঘর মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মূহর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় কোন মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
https://youtu.be/aQY4pwZh37I
খবর পেয়ে কবিরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সকলের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও সম্ভব হইনি মালামাল রক্ষা করার।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে, হাজী বাবুল মার্কেটে ও জমজম হার্ডওয়ার এন্ড ইলেকট্রিক দোকানের মালিক তার সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও মার্কেটে রয়েছে, আল-মদিনা নামের একটি হোল্ড সেলার ফার্মেসীর ৩০ লাখ টাকা, শাহাদাৎ ক্রোকারীজের ১০ লাখ, মিজান টেলিকমের ৮লাখ, কামাল ফল এন্ড কনফেকশনীরর ৩লাখ, হারুন টেলিকমের ৮লাখ, হারুন মেডিকেল হলের ঘরসহ দোকানের মালামাল প্রায় ১০ লাখ, একজন সব্জি বিক্রেতার গুদাম ঘর প্রায় ২লাখ সহ আসপাশের আরো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীদের প্রায় ২/৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, ব্যাবসায়ীরা।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। বিভিন্ন এনজিও সংঘস্থা ও ব্যাংক থেকে নেওয়া লোনের টাকা কিভাবে পরিষোধ করবে সেই চিন্তায় চোখের ঘুম নষ্ট হয়ে গেছে অনেকের। এমতবস্থায় সরকারের উর্ধোতন কর্তপক্ষের কাছে সাহায্যের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীরা।
অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: নুর আলম জানান, রাত ৩টা ১০ মিনিটের দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভাব হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাতের অন্ধকারে তাৎক্ষনিক কিছু বুঝা যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে জানানো যাবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.