প্রতিবেদকঃ
করোনা স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশ। কর্মহীন হয়ে পড়ায় বিপাকে লাখ লাখ মানুষ। মানব জাতির এই মহাবিপদেসেই লড়াইয়ে কিছু মানুষ নানা মানবিক উদ্যোগ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের পাশে। তেমনি একজন মানবিক মানুষ, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর সহচর পিতা দানবীর হাজী ইদ্রীসের মতো নোয়াখালীর মানুষওতাকে ভালেবেসে নাম দিয়েছেন দানবীর একরাম চৌধুরী বা নগদ চৌধুরী। দিনের আলোর পাশাপাশি রাতের অন্ধকারেও তার প্রচেষ্টা থেমে নেই, সেই অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার। যার সহায়তার হাত নিজ জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছেসারাদেশে করোনায় মৃত্যুবরণকারী সম্মুখ্যযোদ্ধা চিকিৎসক, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলাবাহীনির প্রতিটি সদস্যদের পরিবারপরিজনদের কাছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন।ফলে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন। শ্রমজীবী ও গরিব-দুঃখী মানুষ পড়েছেন চরমসংকটে। অতীতের মতোসংকটময়এ কঠিন সময়ে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত সাংসদ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকদানবীর একরামুল করিম চৌধুরী দাঁড়িয়েছেনবিপন্ন এমানুষগুলোর পাশে। করোনাকালীন সময়ে মানুষের সেবায় গড়ে তুলেছেন একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশন। নোয়াখালীর মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং একান্ত ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থেকে এ উদ্যোগটি নিয়েছেন তিনি। আর এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেইসমাজের গরিব, দুঃখী ও অভাবী মানুষদের কাছে অর্থ, খাদ্য, চিকিৎসা, কৃষি সহায়তাসহ সব ধরনের সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন। তার নির্দেশেদলীয় নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়েছেন দুস্থ মানুষের পাশে।
লজ্জায় যারা কারো কাছে হাত পাততে পারেন না, এমন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য উপহার পৌঁছে দিতে একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে “ইমার্জেন্সি ফুড ক্রাইসিস রেসপন্স টিম” নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম। যাদের কাজ হলো নাম পরিচয় গোপন রেখে রাতের অন্ধকারে অসহায় মানুষের কাছে খাবার পৌঁছানো।আর ইমার্জেন্সি ফুড ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের সদস্যরা এমপি একরামের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারগুলোর কাছে রাতের অন্ধকারে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য উপহার। এমন উপহার পেয়ে খুশি, খাবারের কষ্টে থাকা মানুষগুলো।ইমার্জেন্সি ফুড ক্রাইসিসরেসপন্স টিমের সদস্য রাহি ও রাশেদ রানা জানান, এমন মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে তারাও নিজেকে গর্ভিত মনে করছেন।
নোয়াখালী সদর উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম শামছুদ্দিন জেহান জানান, ইতোমধ্যে একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে জেলার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য ৫ লাখ টাকা এবং জেলায় স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দিয়েছেন ১০লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী। কৃষিকাজে আরো গতিশীলতা আনার জন্য একটি নতুন ধান কাটার মেশিন ক্রয়ের জন্য দিয়েছেন ১৪ লাখ টাকার আর্থিক প্রনোদণা। জেলার অসুস্থ ও কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড়াও সাংবাদিকদের প্রত্যেকের জন্য দিয়েছেন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছেন।
নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেটে শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, মানবিক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর মানবিকতার হাত নিজ জেলার গন্ডি পেরিয়ে করোনায় মৃত্যুবরণকারী চিকিৎসক মাঈন উদ্দিনের পরিবারকে দুই লক্ষ, সময়ের আলো ও ভোরের কাগজ পত্রিকার মৃত তিন সাংবাদিকের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার, নিহত ৭ পুলিশ সদস্যের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন।
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু জানান, প্রচার বিমূখ এ মানবিক মানুষটি বিশ^াস করেন মানুষ মানুষের জন্য’, তাই করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষের খাদ্যসহায়তা জন্য প্রায় এক কোটি টাকার বেশিসহ এখন পর্যন্ত প্রায় দেড়কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।কাউকে কিছু দিতে হলে সেটা গোপনে দিতে হয়, ফলে সব অনুদান ও ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন নোয়খালী জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মাধ্যমে।
সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যার যার সামর্থ অনুযায়ী এ মানবিক কাজে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এছাড়াও ব্যক্তিগত দায়বোধ থেকে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু করোনাকালীন সময়ে নয়, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন মানুষের পাশে থাকবেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। করোনার সময়ে নোয়াখালীতে যদি কারো দাফন-কাপনে সমস্যা হয় বা কবর দিতে সমস্যা হয়, তাকে জানালে তিনি নিজেই তার দাপনকাপন ও জানাজা পড়ে কবরস্থ করবেন। সমাজে আরো যারা বিত্তবান রয়েছেন, তাদেরকেও জাতির এ দুঃসময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আকুতি তার।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.