এবারের আইপিএলে শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে ছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ । প্রথম ম্যাচ শুরু করেছিলেন ৩ উইকেট দিয়ে । পরের দুই ম্যাচে উইকেট না পেলেও বোলিংয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এসেই বাধল যত গণ্ডগোল বাধালেন দিনেশ কার্তিক। মুস্তাফিজ নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসেছিলেন বেঙ্গালুরু ইনিংসের ১৮তম ওভারে। ওই ওভারের প্রতি বলেই বাউন্ডারি হাকিয়েছেন কার্তিক। নিয়েছেন সর্বমোট ২৮ রান। চারটি বাউন্ডারির সঙ্গে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে মুস্তাফিজকে একরকম দুঃস্বপ্নই উপহার দিয়েছেন কার্তিক।
১৮তম ওভারে তার কোনো বলই সীমানাছাড়া করতে ছাড়েননি দিনেশ কার্তিক। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য মোস্তাফিজ।মোস্তাফিজের এমন ‘বাজে’ বোলিংয়ের দিনে রানপাহাড়ে চড়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর দিনেশ কার্তিকের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান তুলেছে ফ্যাফ ডু প্লেসির দল।
অথচ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো ছিল না ব্যাঙ্গালুরুর। ১৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অনুজ রাওয়াত (০) আর ফ্যাফ ডু প্লেসিকে (৮) হারিয়ে বসে তারা। এরপর ব্যর্থতার পরিচয় দেন দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলিও (১৪ বলে ১২)। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুলেছিলেন। ৩৪ বলে ৫৫ রান করা এই ব্যাটার ইনিংসের ১২তম ওভারে সাজঘরে ফিরলে ৯২ রানে ৫ উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিনেশ কার্তিকের তাণ্ডব। শাহবাজ আহমেদকে নিয়ে ৫২ বলে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩৪ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। ২১ বলে হার না মানা ৩২ করেন শাহবাজ। দিল্লি বোলারদের মধ্যে শুধু মোস্তাফিজ নন, মার খেয়েছেন কুলদ্বীপ-খলিলও। কুলদ্বীপ ৪ ওভারে দেন ৪৬ রান, খলিলের খরচ ৩৬। দুজনই অবশ্য একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.