নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির একটিভ ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে চাটখিল উপজেলায় গৃহহীন ১০ টি পরিবারকে উপহার দিয়েছেন নিজ অর্থায়নে পাকা বসত ঘর।
সোমবার (১আগস্ট) দুপুরে জেলার চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম আবু তোরাব গ্রামে এ ঘর উপহারের উদ্ধোধন করা হয়। একটিভ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ ঘর গুলোর শুভ উদ্ভোধন করেন।
এই উপলক্ষ্যে চাটখিলে একটিভ ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাহাঙ্গীর কবিরের সভাপতিত্বে ও উপাধক্ষ্য ফারুক সিদ্দিকী ফরহাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মোসা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবর, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
একটিভ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির বলেন, তিনি গত বছর জুলাই মাসে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সরকারের গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কাজের অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তার একটিভ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চাটখিল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভায় মোট ১০টি গৃহহীন পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে উন্নতমানের বসত ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ শুরু করেন। জাহাঙ্গীর কবির আরো বলেন, তিনি পর্যায়ক্রমে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার ১০০ গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর তৈরী করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তিনি বলেন, দেশের সকল বিত্তবানরা যদি গৃহহীন ও অসহায় লোকজনদের সহযোগীতায় প্রধান মন্ত্রীর সাথে যুক্তহন তাহলে অচিরেই দেশ থেকে অভাব, অনটন ও দারিদ্রতা এবং গৃহহীন লোকজন শুন্যের কোটায় পৌছাবে।
পশ্চিম আবু তোরাব গ্রামের অসহায় বৃদ্ধ সামছুদ্দিন (৭০) পাকা ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ২০ বছর আগে তিনি একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে কাজ করতেন। প্রায় ১৫ বছর যাবত তিনি অসুস্থ্য হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। বৃষ্টি আসলে ঝুপড়ি ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। বিছানা পত্র ভিজে যেত। তিনি পাকা ঘর পেয়ে বেজায় খুশি।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.