কাঠফাটা রোদে গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে শান্তি জোগায় এসির শীতল পরশ। এসি ব্যবহারের ফলে আমরা এই প্রচন্ড গরমেও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারি। দৈনন্দিন জীবনে এতো গরমের কারণে এসি এখন একটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। এই গরমে এসি ছাড়া যেন চলেই না। ঘরে বাইরে সব জায়গায় এখন এসির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসি আমাদের যেসব সুবিধা প্রদান করে এবং এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো সম্পর্কে আজ আমরা জানবো।
কিভাবে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিৎ?
সাধারণত গ্রীষ্মকালে মাত্রাতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে এসি কিনে থাকেন সবাই। কিন্তু এর ব্যবহার সম্পর্কে সবাই খুব একটা জানি না। গরমে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারে আমাদের থাকতে হবে একটু সতর্ক। যাতে কম বিদ্যুৎ খরচ করে আমরা এয়ার কন্ডিশনার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি।
• ঘর যতো বেশি গরম হবে তা ঠান্ডা করতে এসির ততো বেশি সময় লাগবে। তাই এসি চালানোর আগে ফ্যান চালিয়ে ও ঘরের দরজা জানালা খুলে ঘর আগে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
• এসি অন করে তার তাপমাত্রা অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ১৬ ডিগ্রিতে ‘কুইক কুল’ মোডে রেখে তারপর সেটিকে ২৪ ডিগ্রিতে সেট করুন। এমন করলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
• একটানা এসি চালিয়ে রাখা ঠিক নয়।যখন প্রয়োজন তখনই এটি ব্যবহার করা উচিত।এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
• রাতে এসি চালানোর আগে ঘরের অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখলে বিদ্যুতের খরচ কম হয়।
• রুম ঠান্ডা রাখার জন্য সারা রাত এসি চালিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। তাই এসিতে টাইমার দিয়ে রাখা ভালো। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার টাইমার লাগিয়ে রাখলে নির্দিষ্ট সময় পর তা নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে এবং এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হবে।
• যখন এসি চালাচ্ছেন না তখন এসির মেইন সুইচ বন্ধ রাখতে হবে।এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটা কমে আসবে।
• এর পাশাপাশি এসির সার্ভিসিং করানো অত্যন্ত জরুরি। নিয়ম মেনে প্রতিবছর এসি সার্ভিসিং করানো উচিত। তাহলে অনেকটাই কমে যাবে বিদ্যুতের খরচ। তাই গরম পরার আগে একবার এসি সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া উচিত।
এসি ব্যবহারের সুবিধা
এসির শীতল পরশ কর্মক্ষমতা উন্নত করে। অস্থির গরমে যখন কাজ করা ভীষণ কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে তখন এসি দেয় স্বস্তির বাতাস। এই ইলেকট্রিক ডিভাইসটি ব্যবহারের অনেক উপকারী দিক রয়েছে।
• এসি পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।কারণ এসির কারণে ঘাম কম হয় আর ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যেতে পারে না।
• এসি পোকামাকড় ও পরজীবীর পরিমাণ কমায়। পোষা কুকুর বা বিড়ালের গায়ে যেসব মাছি বা ফ্লি হয়ে থাকে, সেগুলো রোধেও এসি কাজে দেয়।
• এসি অ্যাজমা অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে।
• বাসার ও অফিসের কাজ,ব্যায়াম বা একটু শান্তি পাওয়ার জন্য এসির বাতাসের বিকল্প নেই।
সতর্কতা
এই গরমে এসি দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে এবং কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে অবশ্যই এটি সঠিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.