নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে (১৮) গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর (৩৫) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। মো.জাহাঙ্গীর (৩৫) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নুর নবীর ছেলে।
রোববার (২৫ জুন) দুপুরে নোয়াখালীর আদালতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান এ আসামি আত্মসমর্পণ করে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাহাঙ্গীর আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
এর আগে এই মামলায় গ্রেফতারকৃত অপর ২ আসামি আনোয়ার হোসেন রিয়াদ (৩০) ও জালাল উদ্দিনকে (২৭) তাদের বাবা-মা পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তারা নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূ (১৮) তার স্বামীর সাথে নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে মোটর সাইকেলযোগে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর সুইস গেট এলাকায় ঘুরতে যান। গেট পার হয়ে পূর্বদিকে বাগানের পার্শ্বে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় আসামি জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও জালাল উদ্দিন হাতে ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী ও তার স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তিন আসামি ভুক্তভোগীর স্বামীকে গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে তার স্ত্রীকে বাগানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। অপর আসামি জালাল উদ্দিন তখন ভুক্তভোগীর স্বামীকে পাহারা দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর স্বামী বাদী হয়ে ৩জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তিন আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাদের ছত্রছায়ায় মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় স্থানীয় জলদস্যু বাহিনী বালু উত্তোলন, খাস জায়গা দখল, ঘুরতে যাওয়া নারীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতায় এগুলো কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। এর আগেও ঘুরতে যাওয়া একাধিক নারী মুছারপুর ক্লোজারে ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানা যায়। তবে মান সম্মানের ভয়ে কেউ এসব ঘটনায় মুখ খুলতে চান না।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.