ডেস্কঃ
পরপর তিনবার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের পর চতুর্থবারের পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এসেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের। তবে পিঠে ব্যথা ও ফুসফুসে সংক্রমণ কমেনি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছেন মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার নিজেই। তিনি বলেন, 'পরপর তিনবার করোনা পরীক্ষায় ফলাফল পজিটিভ এসেছিল। আজ চতুর্থবার পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তবে এখনও পিঠে ভীষণ ব্যথা অনুভব হচ্ছে। একই সঙ্গে ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। চিকিৎসা চলছে।'
দেশবাসীর কাছে দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন ভোক্তা অধিকারের আলোচিত-প্রশংসিত এই কর্মকর্তা। বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, কালোবাজারি বন্ধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সব সময় মাঠে থেকেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি (শাহরিয়ার) পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়েছেন।
গত ১৩ মে ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তার শরীরে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ২৪ মে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এছাড়া তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ের করোনা পজিটিভ আসে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম সংক্রমিত হওয়ার পর (১৭ দিনে) দুইবার পরীক্ষা করা হয়। দুইবারই তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ২৭ মে হঠাৎ বেশি অসুস্থতা বোধ করেন। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথাসহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি বেশি হলে পরদিন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে সিসিইউতে রাখা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি হলে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ৩০ মে পুনরায় করোনা পরীক্ষা করা হলে তৃতীয়বারের মতো তার করোনা পজিটিভ আসে। আজ সবশেষ করোনা পরীক্ষায় তার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
শাহরিয়ার ছাড়াও ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহাসহ ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.