নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ৭ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।
বুধবার (২২ জুলাই) বিকালে জেলা দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত টিমের প্রধান সুবেল আহমেদ’র নেতৃত্বে গঠিত টিম বুধবার থেকে এ অনুসন্ধান শুরু করেছেন।
দুদকের এই অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, ডা. নিজামুদ্দিন উপ-পরিচালক, সিএমএইচডি ঢাকা, ডা. আহসানুল হক সহকারী পরিচালক, হাসপাতাল -৪ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা, ডা. শহিদুল ইসলাম সহযোগী অধ্যাপক, রেডিওলোজী বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ঢাকা, নাশিদ রহমান সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রনিকস) নিমিউ এন্ড টি সি ঢাকা, ডা. সুরজিত দত্ত ডিপিএম হাসপাতাল ঢাকা।
জেলা দুদক কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে এক্টউইল টেকনোলজি (বিডি) লিমিটেড কর্তৃক সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি, সিএমএসডি কর্তৃক কার্যাদেশ নং সিএমএসডি /প্রকিউর/৫৬ এইচপিএন এসডিপি/জি ১৫২৩ (আইসিবি)২০১৫৮-২০১৬/ডি /৫৫ মূলে মেসার্স বেংগল সাইন্টিফিক এন্ড সার্জিকাল কোং কর্তৃক সরবরাহকৃত সি আর এক্সরে মেশিনসহ সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতির মূল্য যাচাই সম্পর্কে দুদক স্বাস্থ্যবিভাগের একটি উচ্চপদস্থ টিম নিয়ে সরেজমিনে বুধবার থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
জেলা দুদক কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ’র নেতৃত্বে বিশষজ্ঞ টিম বুধবার হাসপাতালে এসে দেখতে পায় প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি সি আর এক্সরে মেশিন -৫০০ অকেজো অবস্থায় পরে আছে যা প্রায় ৫ বছর সরবরাহ নেওয়ার পর থেকে একদিনও ব্যবহার হয়নি। এছাড়া ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সরবরাহ নেয়া অটোমেশন, পোর্টাবেল ৪-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাফি, আইসিইউ বেড,ডেন্টাল চেয়ার সহ যন্ত্রপাতি সরবরাহ নেয়া পণ্যের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক পাওয়া যায় নি। যার মূল্য অভিযোগকারী তার অভিযোগে ৭ কোটি টাকা উল্ল্যেখ করেছেন।
নোয়াখালী দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, অনুসন্ধান শুরু হয়েছে মাত্র, অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অনুসন্ধান শেষে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.