নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের স্ত্রীর দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মির্জার অনুসারী সালা উদ্দিন পিটনের দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতের বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান এ আদেশগুলো প্রদান করেন।
বাদলকে প্রধান, সেতুমন্ত্রীর দুই ভাগিনাকে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং এমদাদ হোসেনকে ৩২নং আসামী করে মির্জার অনুসারীর মামলাঃ
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে ১০৫জন সন্ত্রাসী মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা কামাল পাটোয়ারীসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি করে জখম করে। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি মির্জার অনুসারী সালা উদ্দিন পিটন কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তাই সোমবার পিটন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৫জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরও ১০০-১৫০জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর ভাগিনা মাহবুব রশিদ মঞ্জু, ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরী ও নিহত আলা উদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার আইনজীবী শংকর চন্দ্র ভৌমিক জানান, আদালত সালা উদ্দিন পিটনের মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে মির্জাকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের স্ত্রী আরজুমান পারভীন। মামলায় মির্জার ভাই শাহাদাত হোসেনকে দ্বিতীয় ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাসিককে তৃতীয়সহ ১৬৪জনরে নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০-৬০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন গত ৮মার্চ সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক তৈরি করে। এ ঘটনায় মামলার বাদী আরজুমান পারভীন কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এ কারণে সোমবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পারভীন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান বিকেল তিনটায় মামলাটির শুনানি শেষে অত্র আদালতে দ্রুত বিচার আইনের মামলা নেওয়ার আইনগত সুযোগ না থাকায় মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে করার নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোহাম্মদ সেলিম , ঢাকা অফিস : সিটিহার্ট, সুইট নং ১৫/২, ৬৭ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০। ই-মেইল:: nkbarta24@gmail.com
Copyright © 2024 Nk Barta 24. All rights reserved.