নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বাড়ীর সামনে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আগেরও মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার গভীর রাতে পৃথকস্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দাগনভূঞা-বসুরহাট সড়কের বড় রাজাপুর গ্রামের মির্জার বাড়ীর সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো, দৈনিক আজকালের খবরের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি হাসান ইমাম রাসেল (৪৩), সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন রিয়াদ (২৭), বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদ উল্যাহ চৌধুরী দিদার (৩৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস যোগে দুধমুখার দিক থেকে একদল দূর্বৃত্ত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বাড়ীর সামনে আসে। এসময় তারা কয়েকটি বাড়ীর সামনে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত বসুরহাটের দিকে চলে যায়।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনি তারাবির নামাজ শেষ করে পাশ্ববর্তী একটি চা দোকানে চা খেয়ে বাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় দুধমুখার দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস এবং তার পিছনে দু’টি মোটরসাইকেল যোগে একদল সন্ত্রাসী আসে। তারা বাড়ীর সামনে এসে আমাকে লক্ষ্য করে চারটি ককটেল নিক্ষেপ করলে একটি বিষ্ফোরণ হয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা বসুরহাটের দিকে পালিয়ে যায়। তিনি এ ঘটনার জন্য তাদের চলমান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিষ্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, সেতুমন্ত্রী ও মেয়রের বাড়ীর সামনে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনায় রাসেল ও দিদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়রের অনুসারী ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ১৩৭জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে। ১৬২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী নুরুল আফসার আরমান চৌধুরী।