প্রতিবেদকঃ
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরায় বখাটে হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন, কাদরা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সেক্রেটারী স্হোাগ হোসেন (৩০), ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি সৌরভ হোসেন (৩১) ও রিকসা চালক মোঃ আলমগীর হোসেন (৩৫)। এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।
জানাগেছে, সেনবাগ উপজেলা কাদরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর কাদরা বদু মাষ্টার বাড়ির কামাল হোসেনের মেয়ে সেনবাগ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসির ফল প্রত্যাশী সুমাইয়া আক্তার প্রকাশ মিলিকে একই এলাকার মঞ্জুর মাষ্টার বাড়ির সাবেক মেম্বার নেকবর আহমেদের ছেলে নাদিম মাহমুদ স্কুলে যাওয়া-আসার পথে এবং বাড়িতে গিয়ে ইভটিজিং করে এবং স্কুলের দেওয়া বাড়ির বিল্ডিংয়ে দেওয়ালে (এন+এম) লিখে চিকা মেরে রাখে। সর্বশেষ ঈদের রাতে নাদিম মিলিদের বাড়িতে গিয়ে ঈদ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করে ও মিলিকে হাত ধরে টানা হেছড়া শুরু করলে মিলি চিৎকার দেয় এসময় তার মা সহ বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে নাদিম পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই মিলি পিতা কামাল হোসেন বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে বখাটে নাদিমের পিতা সাবেক মেম্বার নেকবরকে বিষয়টি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয় বখাটে নাদিম মাহমুদ তাৎক্ষনিক একটি ধারালো কিরিছ নিয়ে মিলিদের বাড়ি গিয়ে তার পিতা কামাল হোসেনকে মারার জন্য খোঁজাখুজি শুরু করে এবং এবিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য স্কুল ছাত্রীর মা’কে হুমকি দেয়।
এরপর কামাল হোসেন আবারো বিষয়টি নাদিমের পিতা নেকবর মেম্বারেকে জানালে তিনি ২৫ মে সন্ধ্যায় বিয়ষয়টি নিয়ে বসবেন বলে জানান। এরপর মিলির পিতা শালিসদার হিসাবে ওয়ার্ড যুবলীগ সেক্রেটার ও সহ-সভাপতিকে তার মনোনিত শালিসদার হিসাবে দাওয়াত দেন। কিন্তু নেকবর মেম্বার শালিসে উপস্থিত না হয়ে শালিসদারদের সন্ত্রাসী হিসাবে আক্ষায়িত করে।
পরবর্তীতে বুধবার ২৭ মে সন্ধ্যায় শালিসদার যুবলীগ সেক্রটারী সোহাগ হোসেন ও সহ-সভাপতি সৌরভ হোসেন নেকবর মেম্বারের দোকানে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা মুহুর্তে বখাটে নাদিম মাহমুদের নেতৃত্বে তার চাচাতো ভাই কবির, জাফর, আরমান, ছিদ্দিক, সালমান, নেকবর মেম্বার ও ডাঃ ইফসুফ অতর্কিতে হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করে। এতে রিকশা চালক মোঃ আলমগীরের একটি চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আলমগীর বাদী হয়ে ৫জন কে অভিযুক্ত করে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।