সুবর্ণচরে ইউপি চেয়ারম্যানের তৎপরতায় ধরা পড়ল ২ ট্রান্সফরমার চোর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
সুবর্ণচরে ইউপি চেয়ারম্যানের তৎপরতায় ধরা পড়ল ২ ট্রান্সফরমার চোর

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৎপরতায় ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় দুইজনকে আটক করছে স্থানীয়রা।

এসময় চোর গুলোকে আাটক করতে স্থানীয়দের সাথে সহযোগিতা করেন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।

 

আটককৃতরা হলেন, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আসাদুল হকের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৩) একই এলাকার নুর আমিন মাঝির ছেলে মো: রাশেদ (২৭) একই সময় চোর ধরার তৎপরতায় তাদের সাথে আটক হয় একজন রোহিঙ্গা যুবক। এছাড়াও প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এলাকায় ট্রান্সফর্মার চুরি, নদীতে ডাকাতি, চিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করার জন্য এদের বড় একটি টিম রয়েছে অত্র এলাকা জুড়ে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরামার চুরি করেছে আন্তজেলা চোর চক্রের সদস্যরা। আগের ঘটনা গুলোর সূত্রধরে গত ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ২টা থেকে মোহাম্মদপুর ইউপির বিভিন্ন ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মহিউদ্দিন চৌধুরী।

 

এসময় আটককৃত চোরদের কাছ থেকে ২টি ট্রান্সফর্মার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ট্রান্সফর্মার গুলোর ভিতরে কোন যন্ত্রাংশ ছিলনা।

 

মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মরত অফিস ইনচার্জ রেজাউল করিম তিতাস বলেন, গত দুই মাস ধরে মোহাম্মদপুরে ব্যাপক হারে ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে প্রায় ৫/৬হাজার পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্য এবং গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে আমরা এই চোর গুলোকে ধরতে সক্ষম হয়েছি।

 

৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি এবং আমার পরিষদের সদস্যরা বিষয়টি জানার পর তৎক্ষনাৎ অভিযান পরিচালনা করি এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করি। যাদের মধ্যে অভিযুক্ত দুই জন ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনার সাথে জড়ি বলে শিকার করেছে এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি হওয়া কিছু মালামাল আমরা উদ্ধার করি। এঘটনায় চোর চক্রের বাকি সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, চোরদের সাথে একজন রোহিঙ্গা যুবককেও আমরা আটক করি। পরে রোহিঙ্গা হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে এবং আটককৃত চোরদেরকে আমরা চর জব্বর থানায় হস্তান্তর করি।

 

এসময় মহিউদ্দিন চৌধুরী রোহিঙ্গা পালায়নের বিষয়ে প্রশাসনের তৎপরতাকে দূর্বল বলে মন্তব্য করে বলেন, সরকার ভাসানচরে এতো কিছু করার পর এবং প্রশাসনের কড়া পাহারার ব্যবস্থা করার পরও কিভাবে সেখান থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসে? এজন্য প্রশানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কঠিন করে রহিঙ্গা পালায়নের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও মোহাম্মাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব দিকে নদী পথে চুরি ডাকাতি রোধে সেখানে কোষ্ট গার্ডের টহল ব্যাবস্থার প্রতি গুরত্ব দিয়ে অতিদ্রæত কোষ্ট গার্ডের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চর জব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে শুক্রবার দুপরে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, এ চুরির ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০