নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
আগামী ১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি একজন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ভাইয়ের পক্ষে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের প্রচারণাকে ইঙ্গিত করেছে নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।
এসময় বক্তারা বলেন, পৌরসভা নির্বাচনকে প্রশ্নবৃদ্ধ করতে ও ভোটের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে একটি পক্ষ কালো টাকা বিতরণ করছে। আবার একটি পক্ষ নৌকাকে হারানোর জন্য সরকারি কর্মচারিদের ব্যবহার করছে। নৌকার পরিচয় দিয়ে যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে আজ তাদের মধ্যে কয়েকজন নৌকার সঙ্গে বেইমানী করছে। তবে সাধারণ মানুষ কোনো বেইমানী করবে না বলে আমরা আশাবাদী। তবে জেলা আ.লীগের যেসব নেতৃবৃন্দ নৌকার বিপক্ষে আছেন বা থাকার চেষ্টা করছেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ভুল বুঝতে পেরে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
তাঁরা আরও বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল বিগত সাড়ে ৫ বছরে যে উন্নয়ন করেছে সাধারণ মানুষ ভোটাররা তার প্রতিদান অবশ্যই দিবে। ইতোমধ্যে নৌকার পক্ষে ভোটারদের গণ-জোয়ার উঠেছে।
নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মোবাইল প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন লুৎফুল হায়দার লেলিন। তার বড় ভাই বরিশাল জেলা প্রশাসক। গত ১০ জানুয়ারি লেলিনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয় বরিশাল জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী। এ ঘটনায় সমালোচনা শুরু হলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ, আগামী ১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী পৌরসভার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বর্তমান মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল। স্বতন্ত্র (আ.লীগের বিদ্রোহী) লুৎফুল হায়দার লেলিন মোবাইল ও বিএনপি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরন কম্পিউটার, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের নারিকেল গাছ প্রতীকসহ মেয়র পদে ৭জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।