ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাজারে সংকট সয়াবিন তেলের, রমজানের আগেই বাড়তে পারে দাম সবজির দামে স্বস্তি ফিরলো ক্রেতার সুবর্ণচর উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক খলিল সদস্য সচিব আরিফ সবুজ কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুবর্ণচরের চরক্লার্ক ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কলেজে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মি ১৭ বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পরিবারের কাছে বিডিআর ফিরোজ মিয়া, সহকর্মীদের থেকে পেলো সংবর্ধনা রাজকীয় ভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা পেলো দুর্গাপুর হাই স্কুলের তিন গুণীশিক্ষক মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবিতে ডিসি-ইউএনও কে আল্টিমেটাম CNG driver’s death by pressing the pickup van

এজেন্টকে রোধের মধ্যে দড়ি দিয়ে পিলারে বেঁধে শাস্তি দিলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪১৫৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) এর পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেলিম। এক নারী ভোটারকে ইভিএম এ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন সেলিমকে স্কুলের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

 

ভুক্তভোগী মো. সেলিম বলেন, নারীরা কখনো ইভিএম এ ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিয়েছি। আমাকে এভাবে বেঁধে রাখার চেয়ে মেরে ফেললে ভালো হতো।

 

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য সম্ভবত এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেননা।

 

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছেন বাধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিয়েছি।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন, এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, নির্বাচনী নিয়ম আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা ব্যবস্থা নিচে। তারা বলতে পারবে। একটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার প্রধান। তারা কথা বলবেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অপরাধী অভিযোগ করে কিভাবে।

 

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, সাধারণ সদস্যপদে ৯৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৬০ জনসহ মোট ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ৩৮টি কেন্দ্রের ২৫৯টি বুথে ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

এজেন্টকে রোধের মধ্যে দড়ি দিয়ে পিলারে বেঁধে শাস্তি দিলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) এর পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেলিম। এক নারী ভোটারকে ইভিএম এ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন সেলিমকে স্কুলের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

 

ভুক্তভোগী মো. সেলিম বলেন, নারীরা কখনো ইভিএম এ ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিয়েছি। আমাকে এভাবে বেঁধে রাখার চেয়ে মেরে ফেললে ভালো হতো।

 

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য সম্ভবত এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেননা।

 

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছেন বাধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিয়েছি।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন, এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, নির্বাচনী নিয়ম আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা ব্যবস্থা নিচে। তারা বলতে পারবে। একটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার প্রধান। তারা কথা বলবেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অপরাধী অভিযোগ করে কিভাবে।

 

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, সাধারণ সদস্যপদে ৯৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৬০ জনসহ মোট ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ৩৮টি কেন্দ্রের ২৫৯টি বুথে ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।